Jalpaiguri: দাদার চাকরিতে বোন; মায়ের বদলে পড়াচ্ছেন ছেলে, আজব কাণ্ড জলপাইগুড়ির স্কুলে
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকারও দাবি, ধুপগুড়ি সার্কেলের এসআইয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ওরা কাজ করছেন। স্কুল সম্পর্কে কোনও তথ্য আপনাদের দিতে আমি বাধ্য নই। এসআইয়ের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারব না
প্রদ্যুত্ দাস: গতকালই এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের চাকরি চলে গিয়েছে আদালতের নির্দেশে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে প্রাক্তন শিক্ষমন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক এখন জেলে। এরমধ্য়েই জলপাইগুড়ি থেকে আরও এক কেলেঙ্কারির খবর সামনে এসে গেল। জেলার বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা এলাকায় এক প্রাইমারি স্কুলে ২ শিক্ষকের বদলে ডিউটি করছেন তাঁদের আত্মীয়রা। এনিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন-সীমান্তে বিএসএফের গুলি, রাজবংশী যুবকের দেহে ১৮০ প্যালেট! শেষ দেখে ছাড়ব, হুঙ্কার অভিষেকের
জলপাইগুড়ি জেলার গয়েরকাটা এলাকার 'পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমত রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিতর্কে শিক্ষা দফতরের ভূমিকাও।
ওই স্কুলে শিক্ষকের জায়গায় প্রক্সি দিচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। বেতন নিয়ে যাদের স্কুলে পড়ানোর কথা তারা থাকেন বাড়িতে! তার জায়গায় প্রক্সি দিচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। আদৌ কি এটা করা যায়? বড় প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা দফতরের ভূমিকা নিয়ে।
যেখানে শিক্ষা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী একজনের জায়গা আরেকজন প্রক্সি দিতে পারেন না। তাহলে কি করে বছরের পর বছর এভাবে ২ ব্যাক্তি দুই শিক্ষকের অনুপস্থিতির সুযোগে পক্সি দিচ্ছেন। কোথায় তারা? কি কারণে তাদের অনুপস্থিতির অনুমতি দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েও।
এই ঘটনার অভিযোগে শনিবার দুপুরে স্কুলে সংবাদ মাধ্যম পৌঁছেলে রীতিমত তেড়ে আসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। যদিও সংবাদমাধ্যম পিছিয়ে আসেনি সেখান থেকে। যদিও এই বিষয়ের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধুপগুড়ি ওয়েস্ট সার্কেলের এসআই রাজদীপ সরকার।
সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর পেয়ে ডিআই জানান ,আমাদের কাছে এরকম কোন খবর নেই। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একজনের চাকরি আরেকজন প্রক্সি দিতে পারে না বলে শনিবার বিকেলে সরাসরি জি ২৪ ঘন্টাকে জানান ডি আই প্রাইমারি শ্যামল চন্দ্র রায়।
যিনি দাদার চাকরিতে প্রক্সি দিচ্ছেন সেই রূপা দে-কে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে যিনি স্থায়ী শিক্ষক সেই সুদীপ্ত কুমার দে-র বোন আমি। বেশ কিছুদিন ধরেই এখানে পড়াচ্ছি। অসুস্থ থাকার জন্য উনি ক্লাস করতে পারেন না। এসআই অফিস থেকে অনুমতি নিয়েই পড়াচ্ছি। বেতন দাদাই তোলেন।
অন্যদিকে, মায়ের পরিবর্তে স্কুলে ৬-৭ মাস ধরে পড়াচ্ছেন এক যুবক। তিনি বলেন, আমার মা এই স্কুলের শিক্ষিকা। উনি অসুস্থ। তাই তাঁর পরিবর্তে আমি ক্লাস নিই। বর্তমানে মেডিক্যাল রিলিফে আছেন আমার মা। তাই একটু হেলফ করে দিচ্ছি। এসআই বলেছেন স্কুল ফাঁকা থাকবে। অনুমতি নেওয়ার জন্য এসআইয়ের কাছে আমি চিঠি দিয়েছিলাম। উনি তা মঞ্জুর করেছেন।
অন্যদিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকারও দাবি, ধুপগুড়ি সার্কেলের এসআইয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ওরা কাজ করছেন। স্কুল সম্পর্কে কোনও তথ্য আপনাদের দিতে আমি বাধ্য নই। এসআইয়ের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারব না।