JOBLESS JUICEWALA : চাকরি হারিয়েই দোকান ! দুই বাঙালি করছেন কামাল
'জবলেস জুসওয়ালা'নামক এই নতুন শরবতের দোকানে পাওয়া যায় মোহিত, মশলা সোডা, মশলা কোল্ড ড্রিঙ্কস,ম্যাঙ্গো জুস ইত্যাদি। মোহিতর দাম ৪০ টাকা, ম্যাঙ্গো জুস ও মশলা সোডা ৩০ টাকা। সপ্তাহের ৭ দিনই দোকান খোলা থাকছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো : গ্রীষ্ম শুরু হতে না হতেই গরমের তাপদাহ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, আর এই গরমের শুরুতেই শহরের আনাচে-কানাচে, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনের মতো বিভিন্ন জায়গায় শরবত বিক্রেতাদের দেখা মিলছে। কেউ আখের রস, কেউ ডাবের জল, আবার কেউ রঙ-বেরঙের শরবত বিক্রি করছে। আর পথচলতি মানুষ সেই শরবতে চুমুক দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। বর্ধমান শহরের বুকে ঠিক এইরকমই একজন শরবত বিক্রেতার দেখা মিলেছে যিনি ব্যতিক্রমীভাবে নিজের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।পথচলতি সবার নজরে পড়ছে সেই ব্যতিক্রম। তিনি দোকানের নাম রেখেছেন 'জবলেস জুসওয়ালা'। আর এই নামই নজর কাড়ছে সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন : Cow Smuggling: অনুব্রত-সেহগলের আদালতের খরচ জোগাচ্ছে কে! ইডির নজরে এই পাথর ব্যবসায়ী
এই নতুন শরবতের দোকানে পাওয়া যায় মোহিত, মশলা সোডা, মশলা কোল্ড ড্রিঙ্কস,ম্যাঙ্গো জুস ইত্যাদি। মোহিতর দাম ৪০ টাকা, ম্যাঙ্গো জুস ও মশলা সোডা ৩০ টাকা। সপ্তাহের ৭ দিনই দোকান খোলা থাকছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে।
স্বভাবতই সবাই ভাবছেন দোকানের নাম জবলেস জুসওয়ালা কেন?দোকানের এই নামের কারণেই সকলের মনে কৌতূহল তৈরী হচ্ছে। এই 'জবলেস জুসওয়ালা' নামের পিছনে রয়েছে দুইজন যুবকের পরিশ্রমের গল্প। একজন অভিজিৎ গুহ ও অপরজন অপু সরকার। তারা জানান, চোদ্দ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছেন। কিন্তু একমাস আগে হঠাৎই তাদের সংস্থা ছাঁটাই শুরু করে।
আরও পড়ুন :বিষ রাখব না, সরিয়ে দেওয়ার খেলা আমি জানি! বিস্ফোরক মদন মিত্র
সেই কারণে তাদের দুজনের চাকরি গিয়েছে। যেহেতু চাকরি হারিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছেন তাই দোকানের নাম রেখেছেন 'জবলেস জুসওয়ালা'। অভিজিৎ বলেছেন আমাদের মূল লক্ষ্য হল 'ভাল প্রতিক্রিয়া পাওয়া এবং আমাদের ব্যবসাকে বড় করা'। ভাইরাল হওয়া আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়।
নতুন কোনোও কোম্পানিতে কাজ না খুঁজে,বের করলেন এক নতুন ব্যবসার উপায়। দুই বন্ধু মিলে শুরু করা এই নতুন শরবতের ব্যবসা, আজ শহর জুড়ে ভাইরাল। বর্তমানে এই শরবতের দোকানের আয় থেকে দুই বন্ধুর সংসার চলছে। তাদের এই উদ্যোগে প্রশংসায় মেতেছেন শহরবাসী থেকে নেট জগৎ। ভবিষতে তাদের এই শরবতের দোকানকে বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে ।