প্রসেনজিৎ মালাকার: প্রায় ৩ দশক ধরে জেলায় দলের রাশ ছিল তাঁর হাতেই। গোরুপাচার কান্ডে এখন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমে এবার দায়িত্ব সামলাবে কে? সংগঠন কীভাবে চলবে? মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা-সহ বেশ কয়েকজন নিয়ে কমিটি গড়লেন জেলার নেতারা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল,স্বাধীনতা দিবস, খেলা দিবস-সহ দলের সমস্ত কর্মসূচিই পালন করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বোলপুর থেকে কলকাতা, ভায়া আসানসোল। আপাতত অনুব্রতের ঠিকানা নিজাম প্যালেস। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই প্রথম বৈঠক হল বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে। বৈঠকে হাজির ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলার সমস্ত বিধায়করা। দল যে আগামি দিনে সঠিক পথেই পরিচালিত হবে, বৈঠকে শেষে তা স্পষ্ট করলেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, জেলা সভাপতির গ্রেফতারি নিয়ে কোনও কথা বলা হবে না। বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কেষ্টকে কেন গ্রেফতার? বেহালায় বিস্ফোরক মমতা


একবার কিংবা দু'বার নয়, টানা দশবার। গোরু পাচারকাণ্ডে যখনই নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই, তখনই অসুস্থতার কারণে দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বোলপুরের বাড়ি থেকে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী। তাঁকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


সূত্রের খবর, অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যার নামে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।   নজরে রয়েছেন জেলার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাও। তাঁরা সকলেই অনুব্রত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। কীভাবে গোরু পাচার হত? ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মালদহ-মুর্শিদাবাদে সীমান্তে কর্মরত ছিলেন বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার। তখন সীমান্ত থেকে ২০টি গোরু আটক করা হয়। কিন্তু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতারি তো দূর অস্ত, বরং ওই গোরুগুলি বাছুর হিসেবে দেখানো হয়। শুধু তাই নয়, নিলামে গোরুগুলি বিক্রি করা হত গোরুপাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামূল হককে। প্রতিটি গোরু জন্য বিসএসএফের তৎকালীন কমান্ডার সতীশ কুমার দেওয়া হত ২ হাজার টাকা, আর শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা ৫০০ টাকা। 


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal Arrested: মেয়ের নামেও বিপুল সম্পত্তি, এবার অনুব্রত-তনয়া সুকন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের!


এদিকে প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর অনুব্রত মণ্ডল। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার দলের দুই শীর্ষ নেতা। পঞ্চায়েত আগে ইতিমধ্যেই জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, জেলা নেতৃত্বকে অভিষেক বলেছেন, 'ব্যক্তিস্বার্থ নয়, ভালোবেসে দল করতে হবে। যাঁরা ভালো দল করবে, দল তাঁদের বেশই করে কাজে লাগাবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষদের সামনে আনতে হবে'। এমনকী, বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে পাল্টা প্রচারে নামারও পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)