Train to Joyrambati: জয়রামবাটি এখন হাতের আরও কাছে! এবার ট্রেনে চেপেই কলকাতা থেকে সোজা মাতৃমন্দির...

Train to Joyrambati: ২০০২-২০০৩ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শুরু। ২০০৬-২০০৭ সালে শুরু হয় জমি অধিগ্রহণ। ২০০৮-২০০৯ সালে রেললাইন পাতার কাজ। বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথের মধ্যে বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ করে ২০১০ সালেই ওই পথে ট্রেন চলা শুরুও হয়। কিন্তু তারপর?

সৌমিত্র সেন | Updated By: Mar 25, 2025, 04:59 PM IST
Train to Joyrambati: জয়রামবাটি এখন হাতের আরও কাছে! এবার ট্রেনে চেপেই কলকাতা থেকে সোজা মাতৃমন্দির...

মৃত্যুঞ্জয় দাস: বহু প্রতীক্ষার অবসান। এবার একেবারে সারদা মায়ের গাঁ জয়রামবাটি পর্যন্ত ছুটবে ট্রেন! ভাবা যায়? রেলের লাইন পাতা থেকে শুরু করে স্টেশন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দেশবিদেশের ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা এবার সরাসরি ট্রেনে চড়েই পৌঁছে যেতে পারবেন মায়ের গাঁয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই সুযোগের প্রতীক্ষায় বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে ভক্তজন। 

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News 

একসময় বাঁকুড়ার জয়রামবাটি থেকে কলকাতায় স্বামী রামকৃষ্ণদেবের কাছে যাওয়ার জন্য ট্রেনে চড়েই যাতায়াত করতেন জগজ্জননী মা সারদা। কিন্তু তখন সে পথ ছিল বড় কষ্টের। জয়রামবাটি থেকে গরুর গাড়িতে চড়ে প্রায় ৪০ কিমি পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হত বিষ্ণুপুর স্টেশনে। সেখান থেকে ট্রেনে চড়ে যেতে হত কলকাতায়।

তবে, এবার আর ট্রেন ধরার জন্য বিষ্ণুপুর যাওয়ার দরকার নেই। এবার সরাসরি মায়ের গাঁ জয়রামবাটির উপর দিয়েই ছুটবে ট্রেন। রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০- ২০০১ অর্থবর্ষে বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথ নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০২-২০০৩ সালে প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। ২০০৬-২০০৭ সালে প্রকল্পের জন্য শুরু হয় রেলপথের জমি অধিগ্রহণের কাজ। ২০০৮-২০০৯ সালে রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয়। বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেলপথের মধ্যে বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ করে ২০১০ সালেই ওই পথে ট্রেন চলতে শুরু করে। এবং বছরদুই পরে সেই রেল যোগাযোগ গোকুলনগরের পরিবর্তে সম্প্রসারিত হয় ময়নাপুর পর্যন্ত। কিন্তু তারপরে তা থমকে যায়। একদিকে ভাবাদিঘির সমস্যা, অন্য দিকে রেলের দীর্ঘসূত্রিতার 'অভিযোগ'। স্থানীয় মানুষের এবং সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, এই দুইয়ে মিলে প্রকল্পের কাজ ক্রমশ শ্লথ হয়ে আসে। 

আরও পড়ুন: Most Deadliest Avalanche: ইতিহাসের ভয়ংকরতম তুষারধসে মৃত্যু প্রায় ৮০ হাজার, গৃহহীন লক্ষ-লক্ষ! কোথায় ঘটল ভয়ংকর এই বিপর্যয়?

আরও পড়ুন: Deadly Earthquake: ভূমিকম্পের অকল্পনীয় ভয়াবহতা! সরকারি সংস্থা জানিয়েছে, প্রায় ৫০০০ মানুষ...

কিন্তু সম্প্রতি ওই পথে বড়গোপীনাথপুর হয়ে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করে ফেলেছে রেল। জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে সুদৃশ্য স্টেশনও। এবং রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ছোটখাটো কাজ শেষ করে খুব দ্রুতই জয়রামবাটি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত করা হবে।

আর এতেই খুশি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে জয়রামবাটি মাতৃমন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, সারা বছরই দেশবিদেশ থেকে বহু ভক্ত ও পুণ্যার্থী জয়রামবাটী মাতৃমন্দিরে এলেও রেল যোগাযোগ না থাকায় এতদিন যে সমস্যায় তাঁদের পড়তে হত, এবার তা দূর হবে। পাশাপাশি রেল যোগাযোগ শুরু হলে বদলে যাবে এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিবেশও।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.