নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বভারতীতে বাম ছাত্রদের ওপরে হামলাকারী ২ ছাত্রতে গ্রেফতার করল পুলিস।  দুপুরে হামলায় অভিযুক্ত অচিন্ত্য বাগদী ও সাবির আলিকে গ্রেফতার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-NPR বৈঠকে গোপনে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন মমতা, চাঞ্চল্যকর দাবি সেলিমের


বুধবার রাতে  বিশ্বভারতীর হোস্টেলে হামলার পর উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।  হামলাকারীদের মারে আহত হন অর্থনীতির বাম ছাত্র পরিষদের সমর্থক স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় ও ফাল্গুনী পান।  অভিযোগ,লোহার রড, বাঁশ, কাঠ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় হস্টেলের ছাত্রদের।  এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বপ্ননীলকে ভর্তি করা হয় পিয়ার্সন হাসপাতালে।  হাসপাতালেও তদের ওপরে হামলা করা হয়। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা হাসপাতাল গেটের তালা বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেন।


বাম ছাত্রপরিষদের তরফে অভিযোগ ছিল হামলাকারী অচিন্ত্য বাগদী ও সাবির আলি এবিভিপির সমর্থক ও উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্য এবিভিপির সভাপতি সুবীর হালদার। তিনি জানিয়েছেন, বাম ছাত্রদের মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রের সঙ্গে এবিভিপির কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা একসময় তৃণমূল করতো।


আরও পড়ুন-‘একসঙ্গে চলতে গেল অনেক কিছুই হয়, আমরা সবাই একটাই দল’


এদিকে, হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শান্তি নিকেতন থানার সামনে  অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল এসএফআই।  শুক্রবারও তাদের অবস্থান বিক্ষোভ হওয়ার কথা ছিল। সাবির আলি ও অচিন্ত্য বাগদী গ্রেফতারের পর তা তুলে নেওয়া হয়। তবে শুক্রবার মিছিল করে  উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেবে তারা।


প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি বনধের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্তকে নিয়ে নাগরিকপঞ্জীর ওপরে একটি সেমিনার করেন বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্ত্তী। সেই সেমিনারে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্ররা। সেই থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল ক্যাম্পাসে।