নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামীর অনুপস্থিতিতে পড়শি যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল গৃহবধূর। কিন্তু স্বামী ফিরতেই আর সেই 'সম্পর্ক' চালিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হননি। রাজি হননি পড়শি যুবকের কুপ্রস্তাবে। সম্পর্ক অস্বীকার করায় এরপরই গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্টে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নদিয়ার তেহট্টের দেবনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী ফুলন মজুমদার। কর্মসূত্রে দুবাইতে থাকেন শ্যামল মজুমজার। দুই ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একাই থাকেন স্ত্রী ফুলন মজুমদার। বিদেশে থাকার কারণে বাড়িতে খুব বেশি আসা যাওয়া করতে পারেন না শ্যামল বাবু। বছর দুয়েক আগে একবার বাড়ি এসেছিলেন। আবার এই বছর পুজোর সময় দিন কুড়ি ছুটিতে এসেছেন।


আরও পড়ুন, আবার মেয়ে! 'খুন' করে খাল পাড়ে পুঁতে দিল বাবা, মা


এখন শ্যামল মজুমদার বিদেশে থাকা অবস্থায় পড়শি যুবক স্বপন মণ্ডলের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলস্বামীর তাঁর স্ত্রী ফুলন মজুমদারের। কিন্তু স্বামী শ্যামল মজুমদার বাড়ি ফেরার পর স্বপন মণ্ডলের সঙ্গে 'সম্পর্ক' রাখতে অস্বীকার করেন ফুলন। সেকথা স্বপনকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ফুলন। কিন্তু ফুলনের কথা মানতে রাজি হননি স্বপন। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য ফুলনকে বার বার ফোন করতে থাকেন স্বপন মণ্ডল। শেষে গ্রাম থেকে দূরে একটি কলাবাগানে স্বপন মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন ফুলন।


অভিযোগ, কলাবাগানে দেখা করার পর ফুলন মজুমদারকে কুপ্রস্তাব দেন স্বপন মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। কিন্তু ফুলন কিছুতেই স্বপনের প্রস্তাবে রাজি হননি। অভিযোগ, ফুলন রাজি না হতেই পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে তাঁকে কোপাতে শুরু করে স্বপন। ফুলনের চিত্কারে ছুটে আসে গ্রামের মানুষ। বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় স্বপন মণ্ডল।


আরও পড়ুন, দিঘা সৈকতে সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে পর্যটকের মর্মান্তিক পরিণতি


গুরুতর জখম অবস্থায় ফুলনকে প্রথমে তেহট্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে কৃষ্ণনগর জিলা হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ফুলন মজুমদারের শরীরে প্রায় ৩৫টি সেলাই পড়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত যুবক স্বপন মণ্ডল। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।