নিজস্ব প্রতিবেদন: সাম্প্রতিককালে তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে। ফেসবুকে ইউজারের নাম এবং ঠিকানা থেকে সহজেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য পেয়ে যেতে পারে হ্যাকাররা। তার উপরে ফোন নম্বর শেয়ার করলে তো আর রক্ষা নেই! অনর্গল ফোন কল পেতে থাকবেন হ্যাকারদের কাছ থেকে। তাহলে কি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে নিজের সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত নয়? মোটেই নয়! ব্যক্তিগত তথ্যগুলি ফেসবুকে দেওয়ার আগে মাথায় রাখা উচিত বেশ কয়েকটা বিষয়। জেনে নেওয়া যাক এমনই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) ফেসবুক থেকে অন্য কোনও পেজে ঢুকে কখনও কেনাকাটা করতে ঢুঁ মারেন নাকি? কেনাকাটা করেন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে? এমনটা করবেন না। এই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিতে গিয়েই কার্ড জালিয়াতির শিকার হয়েছেন অনেকে। খোয়াতে হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।


২) ফেসবুকে বোর্ডিং পাসের তথ্য শেয়ার করেন? ভয়ঙ্কর বিপদ ডাকছেন নিজের অজান্তেই। কেননা আপনার বোর্ডিং পাসের বারকোড নম্বর দিয়ে হ্যাকাররা আপনার যাবতীয় তথ্য পেয়ে যেতে পারেন সহজেই।


৩) কোথাও বেড়াতে গিয়ে বা পরিবারের সঙ্গে কোনও রেস্তোরাঁয় গিয়ে ছবি পোস্ট করলেন ফেসবুকে। ট্যাগ করে দিলেন সেই জায়গা বা রেস্তোরাঁর নাম। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জেনে গেল ফেসবুক। পাশাপাশি হ্যাকারদেরও কাছেও পৌঁছে গেল সেই খবর! সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতার সল্টলেক-সহ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় পর পর চুরির ঘটনা ঘটেছে ফেসবুকের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।


আরও পড়ুন: চাবি এখন অতীত! এ বার গাড়ি চলবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সারে!


৪) ফেসবুকে লোকেশন সেট করে রেখেছেন বুঝি? ফেসবুকে লোকেশন সেট করে রাখলেই আপনার অবস্থানের সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। মোবাইল থেকে ফেসবুক ব্যবহার করলে এ ক্ষেত্রে সমস্যা বা বিপদের ঝুঁকি আরও বেশি।


৫) ফেসবুকে পরিবারের শিশুদের, স্ত্রী বা মেয়ের ছবি অথবা নিজের একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি শেয়ার করার আগে একটু ভাবুন। হ্যাকারদের মাধ্যমে যৌন অপরাধীদের হাতে সেই ছবিগুলি জুড়ে যেতে পারে কোনও পর্নগ্রাফির ওয়েহবসাইটের ছবির সঙ্গে।