ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী উদ্যোক্তা নীতা আম্বানি শুধু এক বিলিয়নিয়ারের স্ত্রী নন, তিনি নিজেই এক দৃষ্টান্ত — সৌন্দর্য, সাফল্য ও সমাজসেবার অনন্য মেলবন্ধন।
নীতা দালাল নামে জন্ম নেওয়া নীতা এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হন। ছোটবেলা থেকেই নাচ ও শিক্ষায় ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী।
তাঁর পিতা রবিন্দ্রভাই দালাল আদিত্য বীড়লা গ্রুপে সিনিয়র ম্যানেজার ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর প্রয়াণ নীতার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
মা পূর্ণিমা দালাল সরলতা ও ভক্তির প্রতীক। মেয়ের সঙ্গে প্রায়শই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে দেখা যায় তাঁকে—ভক্তদের কাছে তিনি প্রিয় “Prayer Aunty”।
নীতার চার বছরের ছোট বোন মমতা দালাল ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মুম্বইয়ে থেকেই তিনি ছোটদের শিক্ষায় নিয়োজিত।
১৯৮৫ সালে নীতা ও মুকেশের বিয়ে হয়। প্রথম দেখা হয়েছিল নীতার এক নৃত্য পরিবেশনার সময়, যা বদলে দেয় তাঁর জীবনপথ।
বিয়ের পর নীতা এক শর্ত দেন—তিনি কাজ চালিয়ে যেতে চান। আম্বানি পরিবার সমর্থন জানায়, আর তিনি সেন্ট ফ্লাওয়ার নার্সারিতে শিক্ষকতা চালান মাত্র ₹৮০০ বেতনে।
নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার তাঁর মেধা ও শিল্পপ্রেমের প্রতিফলন। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার মিশনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করছেন।
২০১৬ সালে নীতা হন ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির প্রথম ভারতীয় মহিলা সদস্য। এটি তাঁর বিশ্বমানের নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি।
চকচকে আলোয় মোড়া নীতা আম্বানির জীবন আসলে এক নীরব বিপ্লব—যেখানে সমাজসেবা, নারীশক্তি ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা একীভূত হয়েছে।