হৃদস্পন্দন (Heart rate) ও রক্তচাপ (Blood pressure) কমে যায়। হাত-পায়ের উষ্ণতা বেড়ে যায়, কারণ খুব দ্রুত রক্ত সঞ্চালন হয়।
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে। কার্বন মনোক্সাইড (Carbon monoxide) হ্রাস পায়।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমতে শুরু করে। শরীর থেকে নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড ধীরে ধীরে বেরিয়ে যেতে থাকে।
স্বাদ ও গন্ধের অনুভুতি আরও স্পষ্ট হয়, কারণ নিকোটিন এই সংবেদনগুলিকে দুর্বল করে দেয়। ফুসফুসে সিলিয়া (cilia) নামে একধরনের ছোট ছোট চুল আবার সক্রিয় হতে শুরু করে, যা ধুলাবালি পরিষ্কারে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন আরও ভালো হয়। হাঁটা বা ব্যায়াম করতে কম কষ্ট হয়, শ্বাস নেওয়াও সহজ হয়।
কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তি কমে আসে। ফুসফুস নিজে থেকেই মিউকাস পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়, ইনফেকশনও কমে।
হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি একজন অ-ধূমপায়ীর সমান হয়ে যায়। মুখ, গলা, খাদ্যনালী, মূত্রথলি ইত্যাদির ক্যান্সারের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।
ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে। হৃদরোগ, কিডনি ডিজিজ, ও অন্যান্য জটিল রোগের সম্ভাবনাও অনেকটা হ্রাস পায়।
নিজেকে নিয়ে গর্ব হয়- 'আমি পেরেছি' এই অনুভব। মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নতি, কারণ ক্রমাগত অপরাধবোধ বা উদ্বেগ অনেক কমে যায়।