দোকান থেকে কিনে ফেলা চেনা অ্যান্টিবায়োটিকগুলির মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিপদ, তাই আগে থেকে সাবধান হন।
খাচ্ছেন নেকি মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ! শুধু নিজে খেয়ে থেমে না থেকে খাওয়াচ্ছেন বাড়ির ছোট সদস্যকেও? নিজের অজান্তে কোন ভুল করে ফেলছেন না তো?
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য কি বলছে জানছেন? দেশে নবজাতকদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হল, শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে যাওয়া।
হু জানিয়েছে, অল্প সময়ের ব্যবধানে বারংবার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে নিরাময়যোগ্য অসুখও চেনা ওষুধে সারছে না।
সাধারণত মরসুম বদলের সময়ে জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগে শিশু থেকে বুড়ো সকলেই। সাধারণত ভাইরাস শরীরে ১৪ দিনের বেশি কখনওই থাকে না, তাও যদি বাড়াবাড়ি হয় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্যাক্টেরিয়াঘটিত অসুখ সারাতে খাচ্ছেন না তো অ্যান্টিবায়োটিক! অসুখ কী কারণে হয়েছে তা না জেনে মুঠো মুঠো খেয়ে ডেকে আনছেন না তো বিপদ!
যত খুশি যেমন খুশিভাবে গুচ্ছ গুচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়ায় শরারের আসল কার্যকারিতাই নষ্ট হচ্ছে।
পুরো কোর্স শেষ না করেই রেখে দিলেন অ্যান্টিবায়োটিকের পাতাটা? জীবাণুগুলো কিছু দিন ঝিমিয়ে গেলেও পরে চরিত্র বদলে আরও সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান হন।
কোন পর্যায়ের রোগীকে কী অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে, তা না জেনে নিজেই মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেলে শিয়রে যে বিপদ ঘনিয়ে আসছে তা বুঝবেন পরেই। এই কারণে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনও রকম ওষুধ খাওয়া উচিত।
দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে একটি বিশেষ তথ্য, দীর্ঘদিন ধরে বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।