পঞ্জাবের ট্র্যাডিশনাল ওড়না হল ফুলকারি, ভীষণ কালারফুল, উয়োভেল কটনের এই ওড়নার উপর ফুটে ওঠে রং-বেরঙের ফ্লস সিল্ক সুতোর নানা ডিজাইন। বিশেষ করে জিওমেট্রিক ডিজাইন। আজকাল অবশ্য চান্দেরি, সিল্ক ও অন্যান্য ফেব্রিকের উপরও ডিজাইন করা হচ্ছে।
প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করে হাতে আঁকা এবং কলমকারি ওড়না ট্রি অফ লাইফ, মিথলজি ডিপেকশন, ফ্লোরাল ডিজাইন, বার্ডস অ্যান্ড অ্যানিমাল ডিজাইন ইত্যাদির মতো ডিজাইনের জন্য পরিচিত।
ঘর সাজানো থেকে শুরু করে ফ্যাশন- সব কিছুতে মধুবনী পেন্টিংয়ের একটা আলাদা জায়গা; কালারফুল আর সফিসটিকেটেড স্টাইলের এই ওড়না আপনার লুকেও একটা আলাদা ছোঁয়া আনবে। ট্র্যাডিশনাল কুর্তি বা সালোয়ার স্যুটের সঙ্গে এই ধরনের ওড়না ট্রাই করতে পারেন।
তাঁত কাপড়ের হাতে বোনা সূক্ষ, নরম, স্বচ্ছ, হালকা এবং নান্দনিকভাবে আর্কষনীয় এই দুপাট্টা। প্রাণবন্ত রঙের হয়, হ্যান্ড পেইন্টিং এবং সূক্ষ্ম সূচিকর্মের সঙ্গে একটি উত্তেজনাপূর্ণ মিশ্রণ যা আধুনিক দিনের পদ্ধতিগুলিও মেলে না।
ভীষণ জনপ্রিয় এই ওড়না। সিল্ক জমির উপর জরির বেনারসি কাজ আপনাকে গর্জাস লুক দেবে। ধরুন, বিয়েবাড়ি যেতে হবে। কিন্তু শাড়ি পরতে ভাল লাগছে না। সে ক্ষেত্রে একটা সিম্পল কুর্তির সঙ্গে নিতে পারেন বেনারসি ওড়না। সিম্পল লেহঙ্গার সঙ্গেও এই ওড়নাও লুকে একটা আলাদা মাত্রা আনে।
হাতে বোনা চান্দেরি ওড়না শুধু কালারফুলই নয়, এটা একটা ক্লাসি লুকও দেয়। চান্দেরির পীঠস্থান মধ্যপ্রদেশ। চান্দেরি শাড়ি যেমন গর্জাস, ওড়নাও তেমনই গর্জাস। যে কোনও অনুষ্ঠানে, কলেজে আরামসে পরে যেতে পারেন এই চান্দেরি ওড়না।
কাশ্মীরে তৈরি হয় এই ওড়না। এই ধরনের দোপাট্টায় আমরা যে কাজ দেখতে পাই, সেটা কাশ্মীরী কাজ। আর একটা ওড়না তৈরি হতে প্রায় ২ মাসের মতো সময় লাগে। আর অন্যান্য ওড়নার থেকে এই ওড়নার দাম একটু বেশিই হয়। ঠান্ডার দিনে কোনও অনুষ্ঠানে পরলে এটা আপনাকে আরাম দেবে। আর শাড়ির সঙ্গে স্টোল অথবা শাল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
তসর সিল্ক পছন্দ করেন! প্লেন অথবা ক্লাসিক কুর্তির সঙ্গে বিয়েবাড়ি থেকে অফিসে অনায়াসে পরে চলে যেতেই পারেন।
কাঁথা স্টিচ শাড়ির মতোই ভীষণ স্টাইলিশ আর গর্জাস। যে কোনও অনুষ্ঠানে অনায়াসে পরে চলে যেতেই পারেন।
শাড়ির আঁচলে পমপম পছন্দ করেন? তাহলে এই ওড়না আপনার পছন্দ হবেই।