অস্ট্রেলিয়ার বাহ্যিক অঞ্চল ক্রিসমাস আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক বিখ্যাত এই মহা-অভিযানের জন্য। ভারত মহাসাগরের বুকে, জাভা ও সুমাত্রা থেকে প্রায় ১৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপ।
২০০০-এর দশকের শুরুতে এখানে ছিল প্রায় ৫৫ মিলিয়ন লাল কাঁকড়া। কিন্তু ২০২৫ নাগাদ এ সংখ্যা ১৮০ মিলিয়ন ছুঁয়েছে বলে অনুমান!
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি, মৌসুমি বৃষ্টির পর অগণিত কাঁকড়া একসাথে যাত্রা শুরু করে উপকূলে প্রজননের জন্য। এ প্রকৃতির এক অনন্য দৃশ্য।
প্রজননের চূড়ান্ত সময় আসে চাঁদের শেষ চতুর্থাংশে। প্রজনন শেষে পুরুষ কাঁকড়ারা ফিরে যায় বনে, আর স্ত্রী কাঁকড়ারা উচ্চ জোয়ারে ডিম ছেড়ে দেয় সমুদ্রে।
এত কাঁকড়া একসাথে চলতে থাকলে পুরো দ্বীপ ঢেকে যায় লাল চাদরে। সেই সময় অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যেন প্রকৃতির জন্য পথ ফাঁকা!
উপকূলে পুরুষ কাঁকড়ারা খুঁড়ে রাখে ছোট ছোট গর্ত। এই গর্তের মধ্যেই স্ত্রী কাঁকড়ারা দুই সপ্তাহ ধরে ডিম উষ্ণ রাখে।
প্রতিটি স্ত্রী কাঁকড়া প্রায় ১ লক্ষ (১,০০,০০০) পর্যন্ত ডিম উৎপাদন করতে পারে, যা সে তার ডিম বহনের থলি বা ব্রুড পাউচে ধরে রাখে।
এই বার্ষিক অভিবাসনকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম মহান প্রাকৃতিক বিস্ময়। মানুষ, বিজ্ঞানী, ফটোগ্রাফার — সবারই দৃষ্টি থাকে এই মুহূর্তে।