জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: টিসিএস, ইনফোসিস, নাসার জেট প্রোপালসন লেবরেটরি-সহ একাধিক কোম্পানির পর এবার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে অ্যামাজন। বাজারে গুঞ্জন হিউম্যান রিসোর্স ডিভিসন থেকে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করতে পারে দুনিয়াখ্য়াত এই কোম্পানি। ফরচুন-এর মতে ওই কর্মী ছাঁটাইয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশন, পাশাপাশি অ্যামাজনের কনজিউমার বিজনেসেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
Add Zee News as a Preferred Source
দুনিয়ার প্রায় অধিকাংশ দেশেই ছড়িয়ে রয়েছে অ্যামাজন। ফলে ঠিক কত কর্মী চাঁটাই হতে পারেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। তার পরেই ফের এক ধাকা দিতে পারে এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে অটোমেশনের দিকে ঝুঁকছে আমাজন। ফলে পুরো কোম্পানির পরিচালন ব্যবস্থায় ঢেলে সাজানো হতে চলেছে।
সম্প্রতি কয়েক বিলিয়ন ডলার অ্যামাজন বিনিয়োগ করেছে এর আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ক্লাউড অপারেশনে। আগামী ১ বছরে কোম্পানি কমপক্ষে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ওই বিপুল অর্থ খরচ করা হবে ডেটা সেন্টার ও এআই পরিকাঠামো তৈরিতে।
২০২১ সালে অ্যামাজনের সিইও-র পদে জেফ বেজসের জায়গায় এসেছেন অ্যান্টি জাসি। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আগামী দিনগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে এআই। কোম্পানির কর্মীদের এআই-এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। যারা এআই-এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তারাই কোম্পানিকে ভালোভাবে সার্ভিস দিতে পারবেন। ফলে আমাদের ওয়ার্কফোর্স কমবে।
উল্লেখ্য, জাসির আমলে আমাজনে সবচেয়ে বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে কোম্পানি ২৭০০০ কর্মী ছাঁটাই করা হয়। ওইসব কর্মী ছাঁটাই হয় করোনা পরবর্তী সময়ে। তবে এবারের ছাঁটাই অনেক বেশি হিসেবে করে। এআইয়ের জন্য চাকরি যেতে পারে কমপক্ষে ১৫ শতাংশ কর্মীর। এখন ওই ১৫ শতাংশ কর্মীর সংখ্যা যে বিপুল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর প্রভাব ভারতীয়দের উপরে বিপুলভাবে পড়তে পারে বলে মনে কার হচ্ছে।
আরও পড়ুন-পাহাড়ি রাস্তা থেকে গড়িয়ে খাদে পড়ে গেল ভিড়েঠাসা বাস, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৪২ জনের
আরও পড়ুন-TCS-Infosys নয়, এবার বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করছে নামী এই সংস্থা
প্রসঙ্গত, এবার ৫৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে নাসা-র জেট প্রোপালসন লেবরেটরি(JPL)। শতাংশের হিসেবে তা প্রায় ১০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাটডাউন করছের অর্থাত্ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ আটকে রেখেছে। এর ফলে বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমছে। কিন্তু জেপিএলের ডিরেক্টর ডেভ গালাঘের এক বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সঙ্গে ডিপিএলের কর্মী কমানোর কোনও সম্পর্ক নেই। এই রিসার্চ সেন্টারকে ঢেলে সাজানোর জন্য ও ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী তৈরি করে তুলতে এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। টেকনিক্যাল, বিজেনস, সাপোর্ট রোলে যারা রয়েছেন তাদেরও ছাঁটাই হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নাসা ও জেপিএল রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপে রয়েছে। রয়টার্সের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের ক্ষমতায় আসার পর নাসা ছেড়ে চলে গিয়েছেন কমপক্ষে ৪০০০ কর্মী। এর ফলে নাসার ১৮০০০ কর্মী থেকে ২০ শতাংশ কর্মী কমে গিয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ২০০০ সিনিয়র কর্মীও নাসা ছেড়ে দিতে পারেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)