নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘ঐতিহাসিক বৈঠক’ অপ্রত্যাশিতভাবে বাতিল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন কিম জং উন, তাতে কার্যত জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক বিবৃতি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার  অসংযত আচরণ উদ্বেগ তৈরি করেছে। যার কারণে এই বৈঠক ‘সাময়িকভাবে’ বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, একেবারেই দরজা বন্ধ করে দেননি ট্রাম্প।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- প্রাক্তনদের সামনেই গাঁটছড়া বাঁধলেন যুবরাজ হ্যারি



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক বাতিল করলেও, সে পথে হাঁটছে না উত্তর কোরিয়া। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের পদস্থ অফিসার কিম কায়ে গন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ইচ্ছুক উত্তর কোরিয়া। যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতে মুখোমুখি বৈঠকে  রাজি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে গন বলেন, “ কোরিয় উপদ্বীপের পাশাপাশি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পরিপন্থী।”


আরও পড়ুন- জালালাবাদে স্টেডিয়ামে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ; হত ৮, আহত বহু


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে একটি চিঠি দিয়ে তাঁদের বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটার চেষ্টা করলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া থামেনি কিমের। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ মহড়া চালালে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কিম। কিমের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা শান্তি চাইলে শান্তির পথে হাঁটবে, যুদ্ধ চাইলে পরমাণু যুদ্ধে প্রস্তুত তারা। কিমের এমন ‘যুদ্ধবাজ’ মন্তব্যের পরই ১২ জুন সিঙ্গাপুরে দুই-দেশের বৈঠক বাতিল করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পও তাঁর চিঠিতে পাল্টা দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার থেকে অধিকতর পরমাণু শক্তিধর দেশ আমেরিকা। ঈশ্বরের কাছে মঙ্গল কামনা করি যাতে এই শক্তি ভবিষ্যতে প্রয়োগ করতে না হয়।



আরও পড়ুন- কিমের সঙ্গে বৈঠক থেকে সরে আসতে প্রস্তুত ট্রাম্প, হুমকি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের


প্রতিশ্রুতি মতো পুঙ্গে-রি পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্রটি ধ্বংস করে উত্তর কোরিয়া। বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের সাক্ষী রেখে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপটি করেন কিম। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে পথে হেঁটে রাষ্ট্রসংঘ এবং আমেরিকার কাছে ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে চাইছে কিম। তাদের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কৌশল এটি। দুই দেশের শীর্ষ বৈঠককে সফল করতে উত্তর কোরিয়া মরিয়া প্রচেষ্টা চালাবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন- কানাডার ভারতীয় রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণ, আহত কমপক্ষে ১৫