জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এবার শান্তি প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করতে আসরে নামল আমেরিকা। তেল আভিভে এসে পৌঁছল প্রায় ২০০ সদস্যের মার্কিন সেনার একটি বিশেষ দল। অন্যদিকে, চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে নিজেদের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভিটেমাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত প্যালেস্টাইনি।
Add Zee News as a Preferred Source
গাজায় যুদ্ধবিরতি তদারকি এবং মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সমন্বয়ের জন্য এই বিশাল মার্কিন সামরিক দলটি ইজরায়েলে পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, এরা একটি ‘জয়েন্ট কন্ট্রোল সেন্টার’ বা যৌথ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করবে, যার মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করা বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এছাড়াও, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড একটি 'সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার' তৈরি করবে যা মূলত মানবিক ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ এবং লজিস্টিক সহায়তা দেখভাল করবে। যদিও ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কোনও মার্কিন সেনা গাজার মাটিতে প্রবেশ করবে না। এই বহুজাতিক শান্তি প্রক্রিয়ার তদারকিতে মিশর, কাতার, তুরস্ক এবং সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সামরিক আধিকারিকরাও যুক্ত থাকবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- Israeli Weapon: হাড় পর্যন্ত গলিয়ে দিতে পারে! গাজা-সহ এই দেশে ভয়ংকর এই বোমা হামলা করছে ইজরায়েল
যুদ্ধবিরতি ও ইজরায়েলি সেনার প্রাথমিক প্রত্যাহারের সুযোগে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পায়ে হেঁটে গাজায় ফিরতে শুরু করেছেন। সমুদ্র উপকূল বরাবর লম্বা সারিতে মানুষজনকে গাজা সিটির দিকে ফিরতে দেখা যায়, যা ইজরায়েলের তীব্র আক্রমণের শিকার হয়েছিল। গাজা সিটির এক বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, "আল্লাহর রহমতে আমার বাড়িটা এখনও দাঁড়িয়ে আছে। তবে এলাকাটা ধ্বংস হয়ে গেছে, আমার প্রতিবেশীদের বাড়িগুলো শেষ।"
আরও পড়ুন- Maria Corina Machado dedicated her Nobel to Trump: নাকের বদলে নরুন! ভেনেজুয়েলার মানুষের লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য ট্রাম্পকেই নোবেল উত্সর্গ করলেন মাসাডো...
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। ইজরায়েলি সামরিক মুখপাত্রের সতর্কতা অনুযায়ী, গাজার প্রায় অর্ধেক অংশেই এখনও ইজরায়েলি সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং কিছু এলাকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। উত্তরের দিকে ফেরা ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, তারা ইজরায়েলি ড্রোনের নজরদারির মধ্যে দীর্ঘ সময় হেঁটেছেন এবং দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। দ্যা গার্ডিয়ান-এর খবরে প্রকাশ, একজন নার্স জানিয়েছেন— তিনি বেইত লাহিয়ার উপকণ্ঠে পৌঁছতে পারলেও শহরের কেন্দ্রে যেতে পারেননি, কারণ ড্রোনের গুলিবর্ষণের ভয় এখনও রয়েছে। এছাড়া, ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর গাজাজুড়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রায় ১০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনা সত্ত্বেও, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনবে কিনা, সেই বিষয়ে চরম অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)