নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর থেকে তর্জন-গর্জন করে চলেছে পাকিস্তান। পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এবার ইমরান স্বীকার করে নিলেন, চিরাচরিত যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ইমরান খান বলেন,''একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, দু'টি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে লড়াই শুরু হলে শেষপর্যন্ত তা পরমাণু যুদ্ধে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ভগবান না করুক, চিরাচরিত যুদ্ধে আমরা হারের মুখে পড়লে দুটি বিকল্প খোলা থাকবে- হয় আত্মসমর্পণ অথবা স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুবরণ।'' পাকিস্তান দ্বিতীয় বিকল্পই বেছে নেবে বলে দাবি করেছেন ইমরান। তাঁ কথায়, ''পাকিস্তান স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুবরণই বেছে নেবে বলে আমার বিশ্বাস। পরমাণু শক্তিধর দেশ লড়াই করলে তার মারাত্মক ফল তো হবেই।''               
 
সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কাতেই পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বলেন,''ভারতীয় উপমহাদেশকে সম্ভাব্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতেই রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হয়েছি।'' কাশ্মীর থেকে ভারত সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শিথিল করেছে ইসলামাবাদ। কাশ্মীর নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় তিনি রাজি নন বলে এদিন জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। 



৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর থেকে ভারত সরকার আন্তর্জাতিকস্তরে জানিয়ে এসেছেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চিনের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে বদ্ধঘরে আলোচনায় সম্মত হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু চিন ছাড়া বাকিরা দাঁড়ায় ভারতের পাশে। রাষ্ট্রসঙ্ঘও হস্তক্ষেপ করতে নারাজ। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এজাজ আহমেদও ইমরান খানকে কাঠগড়ায় তুলে স্বীকার করে নিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে জোর ধাক্কা খেয়েছে। এর পিছনে দায়ী তাদের ভাবমূর্তি। পাকিস্তানকে দায়িত্বপূর্ণ দেশের চোখে দেখা হয় না। 


আরও পড়ুন- সাপ, কুমির নিয়ে মোদীকে ভয় দেখানো পাক গায়িকা ২ বছরের জেলযাত্রার মুখে!