Turmoil in Jagannath University Bangladesh: 'আমাদের উপর সরকার যদি স্টিম রোলার চালায়, এখানে আগুন জ্বলবে!' উত্তাল শিক্ষক আন্দোলন...
Jagannath University agitation: এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে 'জবি ঐক্যের' পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন এ ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবেন শিক্ষার্থীরা।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:
জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে বাংলাদেশের ইতিহাসে কাকরাইল মোড় জনদাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন।
তিনি আরও বলেছেন, সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, স্টিম রোলার চালানোর প্রচেষ্টা করে তাহলে আমরা রুখে দেব। শুক্রবার কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এই কথা বলেন।
অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে, এটা আমরা জানি। সরকার আন্তরিক হলে প্রথম দিনই আমাদের দাবি নিরসন করতে পারতেন। কিন্তু সেটা এখনও হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন এক স্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনও উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে।
আমরা এখান থেকে এক চুল সরব না। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি দেয়, যদি স্টিম রোলার চালানোর প্রচেষ্টা করে, তাহলে আমরা সেটাকে রুখে দেব এবং এই আন্দোলন আর কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে আমরা জানি না, এর দায়িত্ব আমরা নেব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে বেয়াদবি করার সুযোগ দিয়েন না, আমরা বেয়াদবি করতে চাই না। আমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। আমাদের জীবন-মরনের সঙ্গে জড়িত দাবি। সুতরাং আমাদের দাবি মানতে হবে।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার সকালে কাকরাইল মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান শিক্ষক–শিক্ষার্থী এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের সমাবেশে যোগ দিতে বাসে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আসছেন।
এই অবস্থায় মৎস্য ভবন থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, জুমার নামাজের পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে গণ–অনশনে বসবেন।
আরও পড়ুন: Bangladesh: বদলের বাংলাদেশে বাড়ছে মহিলা ও শিশুদের প্রতি হিংসার ঘটনা!
অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সরকারের নিকট আমাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মেরেছে, কিন্তু আমাদের অধিকারের বিষয়ে কোনো কর্নপাত করেনি। এমনকি ৩৫ ঘণ্টা পার হলেও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রশাসন। সরকার থেকে কোনো বার্তা আসেনি।
দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জুম্মার পরে গণ -অনশন শুরু করবে। এতে সকল সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)