জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ংকর! ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) একটি আবাসিক স্কুলভবন ধসে (multi-storey School building collapsed) মারা গেল ৩৭ জন! আজ, রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা উদ্ধারকর্মীদের। শোকের ছায়া ইন্দোনেশিয়ায়। শনিবার বিকেলের প্রার্থনার সময়ে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
Add Zee News as a Preferred Source
আরও পড়ুন: Cyclone Shakti Updates: বাতাসবিক্ষুব্ধ উত্তাল সমুদ্র! বিপুল বিপর্যয় নিয়ে হাজির 'সিভিয়ার স্টর্মে' পরিণত সাইক্লোন 'শক্তি'! দিকে-দিকে অ্যালার্ট...
১৪১ জন ধ্বংসস্তূপের নীচে
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে গত সোমবার আবাসিক স্কুলটির একটি বহুতল ভবনের একাংশ হঠাৎ ধসে পড়েছিল। ভবনের যে অংশটি ধসে পড়ে, সেখানে কয়েকশো কিশোর শিক্ষার্থী বিকেলের নামাজ পড়ার জন্য জড়ো হয়েছিল। বহুতল ভবনটির উপরেও নির্মাণকাজ চলছিল। এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার অপারেশন ডিরেক্টর ইয়ুধি ব্রামান্ত্যো বলেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত ১৪১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১০৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, ৩৭ জন মৃত।
এখনও দেহের খোঁজ
এখনও ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। এদের বেশিরভাগই কিশোর-- যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। গতকাল, শনিবার পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ১৬ ছিল। এখন পর্যন্ত যেসব দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি দেহাংশ রয়েছে। উদ্ধারকারীরা আজ ধ্বংসস্তূপ থেকে ওই দেহাংশ উদ্ধার করেন বলে জানা গিয়েছে। আজ, সকাল পর্যন্ত ৬০ শতাংশ উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা থেকেও এক বিবৃতিতে আজ পর্যন্ত ৩৭টি মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কী কারণে ভবনে ধস
কী কারণে ভবনে ধস, খুঁজতে তদন্ত চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া সূত্রে তাঁদের মনে হচ্ছে, নিম্নমানের নির্মাণকাজই এই ভবনটি ধসে পড়ার কারণ। সবচেয়ে আতঙ্কের হল-- ভবনের ধসে পড়া অংশ সরাতে গেলে অন্যান্য অংশেও কম্পন তৈরি হচ্ছে। এজন্য সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধার-অভিযান চালাতে হচ্ছে। তাই অনেক সময় লাগছে।
আরও পড়ুন: Laxmi Devi Favourite Zodiac Signs: মা লক্ষ্মীর অতি প্রিয় রাশি! ধনদেবীর কৃপায় উপচে পড়বে ভাগ্য, সংসারে বইবে সম্পদের স্রোত, পকেটে রাশি রাশি টাকা...
গোল্ডেন আওয়ার
সোমবার বাড়িটি ধসের পরে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টাকে গোল্ডেন আওয়ার ধরা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সে সময় শেষ হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়ে পরদিন শুক্রবার থেকে ধ্বংসস্তূপ সরাতে ভারী যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলি বৃহস্পতিবার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সম্মতি জানায়। কারণ, এরই মধ্যে টানা ৭২ ঘণ্টার গোল্ডেন আওয়ার শেষ হয়ে যায়। এই গোল্ডেন আওয়ারে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)