আমেরিকার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আন্তজার্তিক আদালতে দ্বারস্থ ইরান

পালটা আদালতে লড়ার কথা জানিয়ে দিয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে ইরানের আবেদন একেবারে ভিত্তিহীন। তাদের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে।”

Updated By: Jul 18, 2018, 05:21 PM IST
আমেরিকার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আন্তজার্তিক আদালতে দ্বারস্থ ইরান
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হল ইরান। ২০১৫-য় পরমাণু চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে আসায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আইসিজে-তে মামলা ঠুকল হাসান রৌহানির সরকার। রৌহানির সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৫৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী পরমাণু সংক্রান্ত সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনবিরুদ্ধ। যদিও হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, তাদের এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই।

আরও পড়ুন- ‘আবহাওয়া’ বুঝতে ভারতের নাকের ডগায় স্টেশন তৈরি বেজিংয়ের

পালটা আদালতে লড়ার কথা জানিয়ে দিয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে ইরানের আবেদন একেবারে ভিত্তিহীন। তাদের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। এমনকী অন্যতম তেল উত্তোলককারী দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিচ্ছন্ন করতে অন্যান্য দেশের উপরও চাপ সৃষ্টি করছে আমেরিকা।

আরও পড়ুন- ‘আবহাওয়া’ বুঝতে ভারতের নাকের ডগায় স্টেশন তৈরি বেজিংয়ের

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে ইরান। আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে এমনই আবেদন জানায় তেহেরান। ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জারিফ সোমবার টুইটে জানান, কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে ইরান এগোতে চায়।

আরও পড়ুন- ‘আবহাওয়া’ বুঝতে ভারতের নাকের ডগায় স্টেশন তৈরি বেজিংয়ের

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে তেল আমদানি নিয়ে ভারতের সমালোচনা করে ইরান। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি সুরে জানিয়ে দেওয়া হয় আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশ থেকে তেল রপ্তানি করে ভারতকে ‘বিশেষ সুবিধা’ থেকে বঞ্চিত করবে ইরান। যদিও পরক্ষণে ঢোঁক গিলে ইরানের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দেওয়া এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর তেল আমদানি কমেছে ইরানের। যার ফলে আর্থিক সঙ্কটের মুখে রৌহানি সরকার। 

.