নিজস্ব প্রতিবেদন: একদল বন্দুকধারী আততায়ীর হামলায় নিহত হলেন ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসিন ফখরেজাদেহ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইরানের 'রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন অর্গানাইজেশন অফ দ্য মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্সে'র প্রধান ছিলেন মহসিন। দাবি, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির নেপথ্যে তিনিই ছিলেন মূল মাথা। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগও করছে ইরান। তবে তা নিয়ে ইজরায়েল সরকার কোনও মন্তব্য করেনি। হোয়াইট হাউস বা সিআইএ-এর তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷


সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেই শুক্রবার তেহরানের ৪০ কিমি পূর্বে আবসার্দ শহরের মধ্যে দিয়ে গাড়িতে যাচ্ছিলেন মহসিন। তখনই বন্দুকধারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ ফখরেজাদেহের নিরাপত্তারক্ষীরাও পাল্টা জবাব দেন। কিন্তু সেই এনকাউন্টারের ফাঁকে গুলিতে গুরুতর আহত হন বিজ্ঞানী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷


এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফের ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বৈদেশিক কূটনৈতিক মহল। দেশের শীর্ষ এই বিজ্ঞানীর হত্যার বদলা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে ইরান, এমন সম্ভাবনাও তাঁরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ইরানের সরকারি আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই যে ধরনের কথাবার্তা বলেছেন, তাতে এর আশঙ্কা প্রবল। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফেও অভিযোগ করা হয়েছে, বহুদিন ধরেই মহসিনকে নিশানা করেছিল ইজরায়েল। এই ঘটনায় আমেরিকারও হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ ইরানের৷


তবে এ নিয়ে হোয়াইট হাউস, সিআইএ বা ইজরায়েল সরকারের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷


আরও পড়ুন: স্বদেশের আধিকারিকদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্কে রাশের ইঙ্গিত কিমের