জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ট্রাম্পের ভিসা বোমায় ঘুম উড়ে যায় একাধিক প্রবাসীর। এক ধাক্কায় কোম্পানিগুলিকে H-1B কর্মী স্পন্সর করার জন্য ১ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯০ লাখ টাকা) দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে সেই ঘোষণাতেও মন ভরেনি ট্রাম্পের। ট্রাম্প সরকার চায় H-1B ভিসা প্রোগ্রাম পরিবর্তন করতে। তারা শুধু বেশি ফি (১ লাখ ডলার) নেওয়াই না, আরও কিছু কড়া নিয়ম চালু করতে চাইছে। এই নিয়মগুলি ঠিক করবে কে এই ভিসা পাবে আর কোন কোম্পানি কাকে নিয়োগ দিতে পারবে।
Add Zee News as a Preferred Source
আরও পড়ুন:Pakistan Airstrike: তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের নতুন সখ্য! উদ্বিগ্ন পাকিস্তান বোমা ফেলল আফিগানিস্তানে...
আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ একটি নতুন নিয়মের প্রস্তাব দিয়েছে, যার মাধ্যমে H-1B ভিসা প্রোগ্রাম পরিবর্তন করা হবে। এই প্রস্তাব 'Reforming the H-1B Nonimmigrant Visa Classification Program' নামে ফেডারেল রেজিস্টারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এই নিয়মে থাকবে: কারা ভিসার সংখ্যার বাইরে থেকে সুযোগ পাবে, সেটা নতুন করে ঠিক হবে।
যেসব কোম্পানি নিয়ম ভেঙেছে, তাদের ভালোভাবে দেখা হবে।
যারা অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পাঠায়, তাদের উপর নজরদারি বাড়বে।
এখনও ঠিক বোঝা যাচ্ছে না সরকার কোন ধরনের চাকরি বা প্রতিষ্ঠানকে এই ছাড় থেকে বাদ দেবে কি না। তবে যদি ছাড় কমানো হয়, তাহলে অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল আর বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই নিয়মগুলো আনার কারণ, আমেরিকার কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং ভিসা ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে চালানো। তবে এই পরিবর্তনে হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্র ও তরুণ পেশাজীবীদের উপর প্রভাব পড়বে, যারা আমেরিকায় কাজ করতে চায়। এই নতুন নিয়ম ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ হতে পারে।
লটারির বদলে নতুন নিয়ম?
আগে শোনা গিয়েছিল, ট্রাম্প সরকার ভিসা দেওয়ার লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে বেতনের ওপর ভিত্তি করে ভিসা দেবে।
H-1B ভিসার গুরুত্ব:
H-1B এক ধরনের অস্থায়ী (অল্প সময়ের) ভিসা। যেসব বিদেশি, বিশেষ করে ভারতীয়রা আমেরিকায় কাজ করতে চায়, তাদের জন্য এই ভিসা খুব জরুরি। এই ভিসা না থাকলে তারা অনেকেই আমেরিকায় কাজ করতে পারে না।
এই ভিসা প্রথম চালু হয় ১৯৯০ সালে, যেন আমেরিকান কোম্পানিগুলো বাইরে থেকে দক্ষ মানুষ আনতে পারে। প্রতি বছর ৬৫,০০০ জনকে এই ভিসা দেওয়া হয়। আর যারা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স বা তার বেশি ডিগ্রি পেয়েছে, তাদের জন্য আরও ২০,০০০ ভিসা বরাদ্দ থাকে। এসব ভিসা লটারি দিয়ে দেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় আর কিছু প্রতিষ্ঠান এসব সীমার বাইরে থাকে।
আরও পড়ুন:Varinder singh ghuman Death: মাত্র ৪১-এই সব শেষ! প্রয়াত জনপ্রিয় বডিবিল্ডার, সলমান খানের সহ-অভিনেতা...
২০২৩ সালে যারা এই ভিসা পেয়েছে, তাদের প্রায় ৭৫% ভারতীয় ছিল। ২০১২ সাল থেকে এই ভিসার ৬০% এর বেশি গেছে কম্পিউটার বা আইটি সংক্রান্ত চাকরির জন্য। এই ভিসায় কাজ করা মানুষদের অনেক সময় আমেরিকানদের মতো বা তার থেকেও বেশি বেতন দিতে হয়, কারণ নিয়ম তাই বলে। এছাড়া কোম্পানিগুলোকে সরকারকে অনেক টাকা ফিও দিতে হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)