নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেক সময় আমাদের সামনে এমন কিছু খবর চলে আসে, যা শুনলে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে যেতে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স অ্যারোজিনার এই ঘটনাটি তেমনই। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি যে, ১৪ বছর ধরে এক মার্কিন মহিলা কোমায় রয়েছেন। অথচ তিনি জন্ম দিলেন এক সন্তানের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: এমন বিপজ্জনক স্টান্ট কখনও দেখেছেন, ভাইরাল ভিডিয়ো দেখলে শিউরে উঠবেন 


ঘটনাটি ঘটেছে গত ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ। ফিনিক্স অ্যারোজিনার একটি নার্সিংহোমে চিকিত্সাধীন এক মহিলা সন্তানের জন্ম দেন। তার পরই হইচই পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কাঠগড়ায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৪ বছর আগে মহিলাটি জলে ডুবে গিয়েছিলেন। কোনওরকমে তাঁকে বাঁচানো হয়। কিন্তু তিনি কোমায় চলে যান। তার পর থেকেই তিনি নার্সিংহোমে চিকিত্সাধীন।


নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, মাস কয়েক আগে তারা জানতে পারে যে ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই নার্সিংহোমের কাছে।


আরও পড়ুন: এ কেমন টুনা! দাম ৩১ লক্ষ ডলার!


আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কারণ, ওই মহিলার যা অবস্থা তাতে তাঁর পক্ষে কারও সঙ্গে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক করা সম্ভব নয়। তাই পুলিশ এই ঘটনাটিকে ধর্ষণের ঘটনা হিসেবেই দেখছে। তাই কে এই ঘটনা ঘটাল, আপাতত সেটাই খুঁজছে পুলিশ।


নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখেনি পুলিশ। তাদের প্রশ্ন, কোমায় থাকা একজন মহিলার সঙ্গে কেউ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করল, অথচ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানতে পারল না কেন? সেই ঘটনা যদি সকলের অগোচরে ঘটে থাকে, তাহলে ওই মহিলার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নজরে আসার পরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি চেপে গেল কেন? তারা কেন পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানালো না।


আরও পড়ুন: বাঁদরের শ্লীলতাহানি! তিন বছর হাজতবাসের শাস্তি তরুণীর


পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। ওই মহিলার নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কেবিনে এখন অনুমতি ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।