জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার লক্ষ্য হল ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে পূর্ব ইউক্রেন জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ‘মানুষকে আলো এবং বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত করা’। ব্ল্যাকআউটের কারণে খারকিভ এবং ডনেৎস্ক সহ পূর্বাঞ্চলের প্রায় নয় মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই ইউক্রেন জানায় যে দ্রুত পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে তারা ৩,০০০ বর্গ কিমি (১,১৫৮ বর্গ মাইল) এরও বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখভ বলেছেন, বেসামরিক পরিকাঠামোতে রাশিয়ার হামলার ফলে তার শহরের বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎ অথবা জল সংযোগ বিছিন্ন হয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাশিয়ার একটি জঘন্য এবং নিষ্ঠুর প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খারকিভ সূত্রে জানা গিয়েছে যে সন্ধ্যের পরে আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শব্দ শোনা গিয়েছে। তেরেখভ এবং অঞ্চলের গভর্নর মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জরুরী পরিষেবাগুলি ক্ষয়ক্ষতির মেরামত এবং আগুন নেভানোর কাজ করছে। প্রতিবেশী সুমি অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন যে শুধুমাত্র একটি জেলাতেই প্রায় ১৩০ টিরও বেশি বসতি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।


ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক এবং পোল্টাভা অঞ্চলেও একই সমস্যা রিপোর্ট করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রতিবাদী পোস্টে, রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বেসামরিক পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’ চালানোর জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছেন।


তিনি টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘ঠান্ডা, ক্ষুধা, অন্ধকার এবং তৃষ্ণা আমাদের জন্য আপনার 'বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্বের' মতো ভয়ঙ্কর এবং মারাত্মক নয়’।


এই ঘটনা ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের পরে হয়েছে। প্রত্যাঘাতের ঘটনা নিশ্চিত হলে বোঝা যাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী ৪৮ ঘন্টার থেকে একটু কিছু বেশি সময়ের মধ্যে তাদের আঞ্চল ফিরে পাওয়ার ঘটনা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।


রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি বলেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১,০০০ বর্গ কিমি পুনর্দখল করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এই সংখ্যা বেড়ে ২,০০০ বর্গ কিমি হয় এবং তারপর রবিবার তা ৩,০০০-এ দাঁড়ায়।


সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা বিভিন্ন শহর এবং গ্রামে উপস্থিত রয়েছে যা সাম্প্রতিক অতীতে রাশিয়ার অধীনে ছিল।


শুক্রবার ইউক্রেনের বাহিনী দেশের অন্যতম প্রধান শহর বালাক্লিয়ায় প্রবেশ করে। রাশিয়া পরে ডোনেৎস্ক ফ্রন্টে ‘প্রচেষ্টা জোরদার’ করার জন্য সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


আরও পড়ুন: Viral News: 'ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে...' একই যুবককে বিয়ে করলেন দুই বান্ধবী


শনিবার ইউক্রেন ইজিয়াম এবং কুপিয়ানস্কের গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত সরবরাহ শহরগুলি দখল করে নিয়েছে। রাশিয়া উভয় শহর থেকে তার বাহিনীর পশ্চাদপসরণ নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়ছে এই ঘটনা তাদেরকে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সময় দেবে।


ইজিউমের মেয়র ভ্যালেরি মার্চেনকো বলেছেন, মার্চ মাসে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে প্রায় ১০ দিন পরে প্রথমবার শহরে ফিরে আসতে পারবেন বাসিন্দারা।


ইজিয়াম সম্ভবত রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় লজিস্টিক হাব ছিল। তিনি বলেন, এটি ডনবাস অঞ্চলের স্লোভিয়ানস্ক এবং ক্রামতোর্স্কের একটি প্রবেশদ্বার। তবে রাশিয়া এখনও দেশের প্রায় এক পঞ্চমাংশ দখল করে আছে এবং খুব কম লোকই যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তি হবে বলে মনে করছে।


এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ রাশিয়ার পাল্টা হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একটি পাল্টা আক্রমণ এলাকা মুক্ত করে এবং এর পরে আপনাকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এটিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে’।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)