রেলে চাকরির নামে প্রতারণা, ধৃত ১
রেলে চাকরির নামে প্রতারণা। জাল নিয়োগ পত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাকড়াও করা হল প্রতারনাকারীকে। কাটোয়ার সাহেব বাগান এলাকায় চাকরির নামে এরকমই লোক ঠকানো ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন স্থানীয় এক কম্পিউটার শিক্ষক।
ওয়েব ডেস্ক: রেলে চাকরির নামে প্রতারণা। জাল নিয়োগ পত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাকড়াও করা হল প্রতারনাকারীকে। কাটোয়ার সাহেব বাগান এলাকায় চাকরির নামে এরকমই লোক ঠকানো ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন স্থানীয় এক কম্পিউটার শিক্ষক।
টাকা দিলেই নিশ্চিত রেলে চাকরি। হাতে এসে যাবে নিয়োগপত্রও। চাকরির পাইয়ে দেওয়ার নামে এই লোকঠকানো ব্যবসাই ফেঁদে বসেছিলেন কাটোয়ার সাহেব বাগান এলাকায় কম্পিউটার শিক্ষক বাপ্পা দাস। ভুয়ো নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে লক্ষাধিক টাকা আত্নসাতও করেছেন কীর্তিমান এই শিক্ষক। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা। হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন গ্রামেরই দুই যুবক।তাদের কাছেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গল্পফেঁদেছিলেন বাপ্পা দাস। অগ্রিম একলক্ষ ষাটহাজার টাকাও গুনে নিয়েছিলেন। দুই যুবকের সন্দেহ হওয়ায় রেলের ফেয়ারলি দফতরে যোগাযোগ করেন তারা। সেখানে গিয়েই তারা বুঝতে পারেন বাপ্পা দাসের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুরোটাই লোকঠকানো গল্প। দেরি না করে কাটোয়া থানায় খবর দেন তারা। শুক্রবার ওই শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে কাটোয়া থানার পুলিস।
টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত বাপ্পা দাস। রেলের নিয়োগপত্র ভুয়ো হলেও তাতে সই আছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, কাটোয়া দুনম্বর ব্লকের বিডিও ও অতিরিক্ত মহকুমা শাসকের। প্রতিটি সই কিন্তু আসল। প্রশ্ন উঠেছে চাকরি দেওয়া নাম করে যে প্রতারণা ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন বাপ্পা দাস সেখানে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সই এল কীভাবে? তবে কী প্রতারণার জাল আরও গভীরে, প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরাই।