Panskura: 'ভোটে জেতার পরে কে বড় গুন্ডা হবে'? হিরণকে কটাক্ষ করে এ কী বললেন দেব?

Dev in Panskura: পাঁশকুড়ায় ভোট প্রচার করছেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেতা দেব অর্থাৎ দীপক অধিকারী। ভোট-প্রচারের সময়ে তিনি নানা বিষয়ে মন্তব্য করেন।

Updated By: May 12, 2024, 02:05 PM IST
Panskura: 'ভোটে জেতার পরে কে বড় গুন্ডা হবে'? হিরণকে কটাক্ষ করে এ কী বললেন দেব?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাঁশকুড়ায় ভোট প্রচার করছেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেতা দেব অর্থাৎ দীপক অধিকারী। চাঁপাডালিতে ভোট প্রচারের সময় তিনি মন্তব্য করেন, আমি এবং বিরোধী দলের প্রার্থী আপনাদের সামনে আছে। দু'জনের ব্যবহার আপনারা দেখেছেন। একজন সারাক্ষণ আক্রমণ করে যান জেতার জন্য, আর আমি ব্যবহার দিয়ে মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা করি। এটা ভারতের নির্বাচন, এটা তো মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই নির্বাচন নয়! কাউকে আক্রমণ করতে চাই না, তবে আমি এটুকু বলব, নির্বাচনটা দেখে মনে হচ্ছে, বিরোধীদলের প্রার্থীর কথাবার্তা এমন, যেন, ভোটে জেতার পরে কে বড় গুন্ডা হবে (তারই প্রতিযোগিতা চলছে)। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলে চর্চার ঝড় উঠেছে।

আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024: 'এবার প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'! 'প্রথম বাঙালি পিএম'? কে বলে দিলেন এত বড় কথা?

এর আগেও ভোটপ্রচারে দুই নেতা-অভিনতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশ্যে এসেছিল জলসংকট নিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দন্দিপুর বক্সীপাড়া ও মুসলিম পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারদের অভিযোগ, গত ৬ মাস ধরে পানীয় জলের সংকট চলছে। কয়েকদিন আগে এই এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী দেব। তাঁর গাড়ি থামিয়েও পানীয় জল পাচ্ছেন না বলে তখন তাঁর কাছে জলের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা।

এই এলাকায় পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে বসানো হয়েছিল সজল ধারা প্রকল্প। কিন্তু বিদ্যুতের বিল না দেওয়ায় বর্তমানে এই জলপ্রকল্প বিদ্যুৎসংযোগবিচ্ছিন্ন। ফলে, শুরু হয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। এলাকায় পিএইচই পাইপ লাইনের ট্যাপ কলও বসেছে। কিন্তু এখনও তা চালু না হওয়ায় পানীয় জলের চরম সংকটে দুই পাড়ার ৩০টি পরিবারের সদস্যরা। বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত রায় জানিয়েছিলেন, সজল ধারার বিদ্যুতের বিল না মেটায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে, দ্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।

জলকষ্টের ছবিটা অবশ্য অল্পবিস্তর বাংলার সব গ্রামেতেই এক। পশ্চিমবঙ্গের রাঢ অঞ্চলে গরমে জলকষ্ট তীব্র হয়। তবে, অন্য জেলাগুলিতেও একই ব্যাপার বছরের পর বছর ধরে চলছে। কয়েকদিন আগেই দীর্ঘ তিন মাস ধরে পানীয় জলের হাহাকারের খবর এসেছিল হুগলির এক গ্রাম থেকে।

আরও পড়ুন: Narendra Modi In Bengal: ব্যারাকপুরের 'বিজয় সংকল্প সভা' থেকে বাংলাকে ৫ গ্যারান্টি দিলেন মোদী! কী সেই প্রতিশ্রুতি?

গোঘাটের পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝরিয়া গ্রামে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে তীব্র জলকষ্ট। প্রায় এক বছর আগে পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জল প্রকল্পের গভীর নলকূপ ও জলের ট্যাংক তৈরি করা হয়েছিল ঝরিয়া গ্রামে। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই সেখান থেকে আর জল আসছে না ট্যাপে। পাড়ার লোকজন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এই ট্যাংক থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতেন। কিন্তু সেই ট্যাপেও জল পড়ে না প্রায় তিন মাস হতে চলল। আর এজন্য দূর থেকে পানীয় জল বয়ে আনতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। তাঁদের একরকম বাধ্য হয়েই ব্যবহার করতে হচ্ছে পুকুরের জলও। বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বলা সত্ত্বেও তাদের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.