Amartya Sen vs Visva-Bharati: জমি-বিতর্কে অমর্ত্যের পাশে এবার নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিগলিৎজ...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অমর্ত্য সেন-বিশ্বভারতী বিতর্কে অমর্ত্যের পাশে দাঁড়ালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউজিন স্টিগলিৎজ। দাঁড়ালেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অমিয়কুমার বাগচীও। অর্মত্য সেনের প্রতি বিশ্বভারতীর আচরণের প্রতিবাদ করে এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশ-বিদেশের ৩০২ জন শিক্ষাবিদ সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন, তাতে তাঁরাও নিজেদের নাম যুক্ত করতে চেয়েছেন বলে দাবি বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠনের। ৩০২ জনের সেই তালিকায় ছিলেন আর এক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ একারলফ।
আরও পড়ুন: Manipur: আতঙ্ক! মণিপুরে এবার বাঁশের বেড়ার মাথায় টাঙানো কাটা মুন্ডু...
বিশ্বভারতীর দাবি, ১.৩৮ একর নয়, শান্তিনিকেতনে ১.২৫ একর লিজ দেওয়া হয়েছিল অমর্ত্য সেনের বাবা, আশুতোষ সেনকে। সেই হিসেবে ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্য 'দখল' করে আছেন বলে বিশ্বভারতীর অভিযোগ। রাজ্য সরকার জমির নথি অমর্ত্যের হাতে তুলে দিয়ে জানিয়েছে, ১.৩৮ একরই তাঁর বাবাকে লিজ দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাতে জমি বিতর্কের আদালতে গড়িয়ে যাওয়া রোধ করা যায়নি। এর মধ্যে একাধিকবার অমর্ত্যকে নানা ভাবে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রত্যক্ষ ভাবে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে, পরোক্ষ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে।
বহুদিন ধরেই দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট মানুষজন অর্মত্য সেনের প্রতি বিশ্বভারতীর আচরণের প্রতিবাদ করেছেন। তবে সম্প্রতি ৩০২ জন শিক্ষাবিদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি দিয়েছেন। যে-চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। এ ছাড়া অমর্ত্য নোবেল পুরস্কার পাননি বলে উপাচার্য যে দাবি করেছিলেন, নিন্দা করা হয় তারও।
ওই ৩০২ জনের সঙ্গে এ বার নাম লেখালেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউজিন স্টিগলিৎজ এবং অমিয়কুমার বাগচী। জানা গিয়েছে, স্টিগলিৎজের অফিস থেকে একটি ই-মেল করে নোবেলজয়ীর নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বিতর্কে তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব অর্মত্যের পাশে দাঁড়ানোয় আলোড়ন তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। কেননা, এই স্টিগলিৎজ মার্কিন প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টামণ্ডলীর একজন ছিলেন, সামলেছেন বিশ্বব্যাংকের দায়িত্বও।
এদিকে স্টিগলিৎজের মতোই ই-মেলে-ই নিজের সমর্থনের বার্তা পাঠিয়েছেন অধ্যাপক অমিয়কুমার বাগচীও। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার চায়, অমর্ত্য সেন যেন হয়রানির শিকার হন। কারণ, অমর্ত্য সেন আরএসএস এবং বিজেপির সমালোচক।
আরও পড়ুন: ভারতের কোন দু'টি শহর বিশ্বসেরা হল? কেনই-বা হল?
বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্ব জুড়ে বিশিষ্টজনের সমর্থন যেভাবে বাড়ছে তাতে অমর্ত্য-ইস্যুতে আগামীদিনে চাপে পড়বে কেন্দ্র সরকার তথা বিজেপি। সেই চাপের মুখে কীভাবে তারা বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটাই বড় কথা।
জমি-বিতর্কে অমর্ত্যের পাশে এবার নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিগলিৎজ...