ভিটামিন এ, বি, সি, এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ এই শাকের ইংরেজী নাম মালাবার স্পিনাচ বা বাফেলো স্পিনাচ।
কলমিশাক এবং অন্যান্য অনেক শাকের তুলনায়, পুঁইশাকে থাকে অধিক পরিমাণে ক্যারোটিন, যা আপনার ত্বককে ভালো রাখে।
রাতকানা বা চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে পুঁই শাক।
ক্যালসিয়ামের অভাবে বহু শিশুর রিকেট রোগ হয়।পুঁই শাকে থাকা ভিটামিন ‘সি’ দাঁত, মাড়ি ও হাড় মজবুত করে, এই ধরনের রোগ মোকাবিলা করে।
পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ঠিক রাখার জন্য, এই শাককে উচ্চতাপে অল্প সময়ে রান্না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে ফেলুন।
দেহে লৌহের অভাব হলে শরীরে অপুষ্টিজনিত রক্তশুন্যতা হয়, যা আপনারা অ্যানিমিয়া নামে চেনেন। পুঁই শাক খেলে কমবে সেই রোগও।
পুঁইশাক দেহ থেকে সঠিকভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন করে বদহজম, গ্যাস ও অ্যাসিডিটি-সহ অন্যান্য সমস্যা দূর করে আপনাকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।
ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, পুঁইশাক খাওয়া যেতে পারে। কারণ এতে থাকে ওজন কমানোর উপাদান, যেমন ভিটামিন সি এবং আয়রন।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত পুঁইশাক আপনার মস্তিস্কের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে, এবং বয়সকালীন স্মৃতিশক্তি লোপের হাত থেকে বাঁচায়।
পুঁইশাকে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস, যা নারীদের ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।