স্বর্গের প্রযুক্তিবিদ ও স্থাপত্যশিল্পী

ঘুড়ি-অরন্ধন

বিশ্বকর্মাপুজো মানেই বাঙালির কাছে ঘুড়ির উৎসব, কারও-কারও বাড়ি ওইদিন অরন্ধনও পালিত হয়।

১৭ সেপ্টেম্বরই

প্রতি বছর সাধারণত ১৭ সেপ্টেম্বরই বিশ্বকর্মা পুজো হয়। আসলে এই পুজো হয় ভাদ্র সংক্রান্তিতে। আর সংক্রান্তিটি পড়ে ১৭ তারিখেই।

১৬, না, ১৭?

তবে বিশ্বকর্মাপুজোর দিন নিয়ে এবারে একটু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ বছর কবে পুজো? ১৬ সেপ্টেম্বর, না, ১৭ সেপ্টেম্বর?

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত

এ বছর আসলে দুদিনেই বিশ্বকর্মাপুজোর তিথি পড়েছে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বিশ্বকর্মা পুজো ৩১ ভাদ্র, ১৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার। ভাদ্র শুক্লপক্ষ ত্রয়োদশী তিথি শেষ এদিন সকাল ৩টে ১১ মিনিটে।

গুপ্তপ্রেশ

তবে অন্যমতে, বিশ্বকর্মা পুজো আগামী ৩১ ভাদ্র, ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। ভাদ্র শুক্লপক্ষে চতুর্দশী তিথি সকাল ১১টা ৪ মিনিট পর্যন্ত থাকছে। সেই হিসেবে ৩১ ভাদ্র, ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজো।

সিংহ ছেড়ে কন্যায়

জ্যোতিষ মতে, প্রতি বছর ভাদ্র মাসে সূর্য যখন সিংহ রাশি ছেড়ে কন্যা রাশিতে প্রবেশ করে, তখন বিশ্বকর্মা পুজো হয়। সেই হিসেবে প্রতি বছরই ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো হয়। তবে এবার এ পুজো নিয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

কেন বিভ্রান্তি?

বিভ্রান্তির কারণ, এবার কন্যা রাশিতে সূর্য প্রবেশ করছে ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে।

অর্থহীন বিভ্রান্তি

কিন্তু, এই বিভ্রান্তি অর্থহীন। কারণ, হিন্দু ধর্মে তিথি নির্ধারণে চন্দ্রের চেয়েও সূর্যের উপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশ করলেও সূর্যোদয় যেহেতু হবে পরের দিন, অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বরে, তাই ওই দিনই পালিত হবে বিশ্বকর্মা পুজো।

সৌভাগ্যের চূড়ায়

আর এই বিশ্বকর্মাপুজোর সময়েই কন্যা সংক্রান্তির তিথিসূত্রে তিন রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্য থাকবে তুঙ্গে। মেষ-- এঁদের সুখবৃদ্ধি ও চাকরিযোগ; মীন-- এঁদেরও নতুন কাজের সুযোগ আসবে; মকর-- এঁদের সম্পত্তিপ্রাপ্তি।

VIEW ALL

Read Next Story