গ্রিনল্যান্ডে ১.২ কিলোমিটার উঁচু এক পর্বতচূড়া ধসে পড়ে। এতে সেখানকার সমুদ্রে ওঠে বিশাল ঢেউ। এ ঘটনায় গোটা পৃথিবীর ভূত্বকে সৃষ্টি হয় কম্পন।
গবেষণা বলছে, পর্বতের পাদদেশের হিমবাহ অনেক কৃশ, মানে, পাতলা হয়ে গিয়েছে। এই কারণেই ওই বিরাট ভূমিধসের সৃষ্টি।
কেন এরকম? কারণ সেই জলবায়ুর পরিবর্তন। গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো জলপ্রবাহ পৃথিবীর ভূত্বকের মধ্য দিয়ে গেলে যে কম্পন তৈরি হয় তার হিসেব রেকর্ড করা হয়। এবং এটা ঘটেছে কয়েকদিন ধরে বিশ্ব জুড়ে।
৯ দিন ধরে জলের ওই বয়ে চলা কীভাবে অব্যাহত ছিল, সেটা দেখাতে গবেষকেরা একটি গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
ঘটনায় প্রতি ৯০ সেকেন্ডে জল সামনে-পেছনে আছড়ে পড়ে। এটি পৃথিবীর ভূত্বকের মধ্য দিয়ে কম্পন ছড়িয়ে দেয়। আর এতেই সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সুনামিগুলির একটি তৈরি হয়।
গবেষকদের ধারণা, গ্রিনল্যান্ডে পর্বতের চূড়া ধসে পড়ার ঘটনাটিতে একেকটি ঢেউ সমুদ্র-অঞ্চলের ১০ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাথমিক ভাবে ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ২০০ মিটার। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ৭ মিটারে নেমে আসে।
উত্তর আমেরিকার গ্রিনল্যান্ডে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে। তবে বিখ্যাত 'সায়েন্স' পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত গবেষণা।