চতুর্ভুজা দেবী গন্ধেশ্বরী

আদ্যাশক্তি

গন্ধেশ্বরী দুর্গারই অংশবিশেষ। গন্ধেশ্বরী দেবী আদ্যাশক্তি দুর্গারই অন্যরূপ। গন্ধেশ্বরীর রূপ অনেকটা জগদ্ধাত্রীর রূপের মতোও-- হাতে ও শঙ্খ, চক্র, ধনুর্বাণ।

দুর্গতিহারিণী

গন্ধেশ্বরীর ধ্যানমন্ত্রে বলা হয়-- 'হে দেবী, আপনি আমাদের নিকট দুর্গতিহারিণী দুর্গাস্বরূপা হউন। আমাদের দুঃখ বিনাশ করুন।'

গন্ধাসুরবধ

দুর্গা ও গন্ধেশ্বরী উভয়েই সিংহবাহিনী এবং অসুরমর্দিনী। সিংহের উপর আসীন এই দেবী ত্রিশুল দিয়ে গন্ধাসুরকে বধ করেন।

গন্ধবণিক

গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা এদিন তাঁদের দোকানের খাতা এবং দাঁড়িপাল্লা দেবীর সামনে রাখেন।

ব্যবসারশ্রীবৃদ্ধি

গন্ধেশ্বরীর আশীর্বাদ নিয়েই সারা বছরের ব্যবসার সমৃদ্ধি কামনা করা হয় এদিনে।

বৌদ্ধবিহারে

বাঙালি হিন্দুর পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরাও গন্ধেশ্বরীপুজো করেন। বাংলাদেশের পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে অন্যান্য দেবদেবীর সঙ্গে গন্ধেশ্বরীরও এক মূর্তিও আছে!

বাণিজ্যে শ্রী

ধনপতি সদাগর, শ্রীমন্ত সদাগর, চাঁদ সদাগরের সময় থেকে বাণিজ্যে যশখ্যাতি অর্জন করেছে এই গন্ধবণিক সম্প্রদায়।

গন্ধদ্রব্য

গন্ধবণিক বাঙালি হিন্দু বণিক সম্প্রদায়, যারা মূলত গন্ধদ্রব্যের ব্যবসা করে থাকেন। গন্ধদ্রব্য বলতে বিভিন্ন সুগন্ধি প্রসাধনী, সুগন্ধি ধূপ, সুগন্ধি মশলাও। এই গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের কুলদেবীই হলেন গন্ধেশ্বরী।

ময়ূরপঙ্খী ভাসিয়ে

প্রাচীনকালে বণিকরা ময়ূরপঙ্খী ভাসিয়ে বাণিজ্যে যেতেন। পথে নানা আশঙ্কা, নানা বিপদ-বাধা ছিল। এসবের থেকে মা গন্ধেশ্বরীই তাঁদের রক্ষা করবেন, এই বিশ্বাস থেকেই শুরু গন্ধেশ্বরীপুজো।

VIEW ALL

Read Next Story