'হ্যাপি ক্রিসমাস'-এর পরিবর্তে 'মেরি ক্রিসমাস' বলার পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য একসময় ইংল্যান্ডে চার্চের ফাদার 'হ্যাপি'-র বদলে ক্রিসমাসের আগে 'মেরি' বসিয়ে দেন। তারপর থেকেই 'হ্যাপি ক্রিসমাস' এর বদলে চলে আসছে 'মেরি ক্রিসমাস' বলার রীতি।
প্রসঙ্গত জানা যায় যে, ১৫৩৪ সালে 'মেরি ক্রিসমাস' লিখে ক্রোমওয়েলকে একটি চিঠি লিখেছিলেন বিশপ জন ফিশার। তবে ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে ইংল্যান্ড-সহ ইউরোপের নানা জায়গায় 'মেরি ক্রিসমাস' শুভেচ্ছা বার্তা হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ক্রিসমাস কার্ড, কিংবা উপহারে 'মেরি ক্রিসমাস' লেখা ছড়িয়ে পড়ে।
ইউরোপ পেরিয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে 'মেরি ক্রিসমাস' জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এখনও 'হ্যাপি ক্রিসমাস' শুভেচ্ছা বার্তার প্রচলন রয়েছে। তবে সেই বার্তাটিয় রয়েছে মুষ্টিমেয়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
একটি মজার কথা হলো, এই 'মেরি ক্রিসমাস'-এর পিছনেও রয়েছে ইংল্যান্ডের চার্চের ভূমিকাই। সাধারণ মানুষের মধ্যে খ্রিস্টধর্ম জনপ্রিয় করার জন্যই নাকি, চার্চের ফাদারের উদ্যোগে এক সময়ে 'হ্যাপি'র পরিবর্তে ক্রিসমাসের আগে 'মেরি' বসানো হয়।
মোটের ওপর 'মেরি ক্রিসমাস' একেবারে সাধারণ মানুষের ভাষা, আর 'হ্যাপি ক্রিসমাস' রক্ষণশীলদের শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবেই থেকে গিয়েছে ইংল্যান্ডে।
১৫৩৪ সালে বিশপ জন ফিশার একটি চিঠি লিখেছিলেন ক্রোমওয়েলকে। সেখানে 'মেরি ক্রিসমাস'ই লেখা হয়েছিল।
উনিশ শতকের গোড়া থেকেই ইংল্যান্ড-সহ ইউরোপের নানা জায়গায় মেরি ক্রিসমাসই শুভেচ্ছাবার্তা হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে যায়। পরে আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে এই রীতি। ক্রিসমাস-কার্ডে ব্যাপক ভাবেই লেখা হতে থাকে 'মেরি ক্রিসমাস'।
ব্রিটেনের রানি নিজে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে 'হ্যাপি ক্রিসমাস' বলে থাকেন। রানির মতে, 'মেরি' শব্দ 'হ্যাপি'র মতো রুচিশীল শব্দ নয়। 'হ্যাপি' শব্দটাই অত্যন্ত ভদ্র ও রুচিশীল ব্যক্তিত্বর পরিচয় দেয়। এমনকি ওই দেশের চার্চেও রানির রীতিই মেনে চলা হয়।
ক্রিসমাসের আগে 'হ্যাপি' কিন্তু পুরোপুরি বাদ পড়ে যায়নি। এখনও ইংল্যান্ডের ব্যাপকভাবেই ক্রিসমাসের আগে 'হ্যাপি' বসিয়ে 'হ্যাপি ক্রিসমাস' বলা হয়।
এখন গোটা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে 'মেরি ক্রিসমাস'। তবে এরই মধ্যে টিমটিম করে হলেও হাতেগোনা কিছু মানুষের মধ্যে টিকে রয়েছে 'হ্যাপি ক্রিসমাস' এর বার্তা।