বাংলা ছাড়া বিদেশে গিয়েও প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গা পুজো পালন করে থাকে। তবে এবারে কানাডার ওয়াটারলু এলাকার পুজো আরও একধাপ এগিয়ে নজির গড়ে তুলেছে।
কোনও ক্লাব বা হোটেল বা স্কুলের অডিটোরিয়াম নয়, কানাডার অনটারিওর বাঙালিরা দুর্গাপুজো করলেন একটা চার্চের মধ্যে।
২০১৮ সাল থেকে এমানুয়েল ইউনাইটেড চার্চের মধ্যেই কানাডার অনটারিওর বাঙালিরা পুজো করে আসছে।
সবেকি প্রতিমা, ঢাকের আওয়াজ, মহিষাসুরমর্দিনী, সিঁদুর খেলা এবং ধুনুচি নাচ কানাডার অন্টারিওর ওয়াটারলু এলাকার কিছু ঝলক।
টরেন্টো থেকে সরে এসে ওয়াটারলু এলাকায় একেবারে নিজের 'পাড়ার পুজো' শুরু করেন রবিন চট্টপাধ্যায়। এই পুজো এখন কলেবরে অনেক বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কলকাতার কুমোরটুলি থেকে দুর্গা প্রতিমা যায়। হিন্দু পুরোহিত মাইকে দুর্গা মন্ত্র পড়েন। প্রায় ৪০০ লোকের সমাগম হয় এই পুজোতে।
এই পুজোর আরও একটা বৈশিষ্ট্য হল, অন্যান্য বিদেশের পুজোর মত,প্যাকেট খাবার খাওয়ানো হয় না এখানে। বেশ কয়েকজন বাঙালি মেম্বার নিজেরাই কোমর বেঁধে খিচুড়ি ভোগ রান্না করেন।
এই পুজোয় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন চার্চের ফাদার।
টানা পাঁচদিন ছুটি মেলে না, তাই এখানে সপ্তাহের শেষে শনি-রবি পুজো হয়। কানাডায় তাই আগের শনি-রবি থেকেই পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী শনি-রবি মানে কলকাতার সপ্তমী-অষ্টমীর দিনে ওখানে ওরা বিজয়া দশমী পালন করবে।