স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাত পোহালেই ভাইফোঁটা।সব বোনরা তাদের ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে কপালে ফোঁটা দেবে। যমের দুয়ারে পড়বে কাঁটা। শত্রুর মুখে পড়ুক ঝাঁটা। এই রীতিতে ভাইয়েরা কতটা ভালো থাকে, সে তো সমাজই জানে। কিন্তু এমন দিনে বোনের হাত থেকে কপালে একটা ফোঁটা নিতে পারলে তো সেই ভাইয়ের কপালটাই ফাঁকা! যাক সে সব, এবার ঢুকে পড়ি প্রসঙ্গে। এমন দশটা 'ভাই-বোন' ভেবে বের করলাম, যে বোনরা একটা দিনের জন্য মিছিমিছিভাবেই তাঁদের ভাইকে একটা ফোঁটা দিয়ে দিলে, আমাদের শহর, দেশ, পৃথিবীটা হয়তো অনেক বেশি শান্তিতে থাকতো। তাঁদের মনেও আসতো শান্তি। আসলে আমাদের সমাজে যাঁদের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়, তাঁদের সম্পর্ক ভালো করতে ভাইফোঁটার থেকে ভালো কী হবে। শুধু পড়ার আগে মাথায় রাখবেন, এটা শুধুই মজা করে ভাবনা। বাস্তবে এমন হতে পারে, এমনটা কল্পনাতেও আসে না। তবে, ভাবতে বেশ ভালোই লাগলো। পড়ার পর দেখুন তো ভাবতে আপনাদেরই বা কেমন লাগছে? মজা পাচ্ছেন কিনা? তবে, হ্যাঁ, পড়ার পর বিষয়টা ভুলে গেলেই ভালো হবে। কারণ, যাঁদের নিয়ে আলোচনা করছি, তাঁরা বড় বড় মানুষ সব। তাই হাল্কা রসিকতাই ঠিক আছে। কোনওরকমভাবেই কোনও অসম্মাণ নয়। তাহলে শুরু করি।


১) সোনিয়া গান্ধী ভাইফোঁটা দিন নরেন্দ্র মোদীকে - দুজনের সম্পর্ক কতটা আদায়-কাঁচকলায় তা শুধু এ দেশের মানুষ নন, গোটা বিশ্বেরই মানুষ জানেন বোধহয়। অবশ্য এমন ঘটনা ঘটতে পারে, লিখে ফেলেও বিশ্বাস হচ্ছে না। আপনারও পড়ার পর বিশ্বাস হবে না। বুঝুন কাণ্ড!


২) জয়লললিতা ভাইফোঁটা দিন করুনানিধিকে - জয়ললিতার শরীরটা ভালো নেই। প্রার্থনা, তিনি তাড়াতাড়ি পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠুন। আর সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর পারলে করুনানিধির কপালে দিন ফোঁটা। তামিলনাড়ুর রাজনীতি জমে যাবে!


৩) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইফোঁটা দিন সূর্যকান্ত মিশ্রকে - আমাদের রাজ্যও বা বাদ যাবে কেন? এ তো মজার কল্পনা। কয়েক মুহূর্তের জন্য একটু ভেবে ফেললে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে! তবে, ব্যাপারটা পড়ে আপনাদেরই না গা রি রি করে ওঠে। আরে অত রাগ করবেন না। এত হিংসা বা রেষারেষি তো ৩৬৪ দিনই হয়। একটা দিন যদি দুজন দুজনের মঙ্গলকামনা করেন, তাহলে আর যাই হোক খারাপ কিছু হবে না। (বুঝবেন এটা শুধুই মজা করে বলা। আপনাদের আবেগকে সম্মাণ করি)


৪) হিলারি ক্লিন্টন ভাইফোঁটা দিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে - এবার একটু দেশের থেকে বেরিয়ে পাড়ি দিই বিদেশে। মানে টিকিট টু হলিউড আর কী! একেবারে আমেরিকায়। সামনেই নির্বাচন। ডোনাল্ড ট্রাম্প আর হিলারি ক্লিন্টন একে অপরকে সমানে বিঁধছেন তাঁদের প্রচারে। ওঁদের তো আর ভাইফোঁটার কথা জানা নেই। একবার রাষ্ট্রসংঘ যদি দীপাবলি পালন করতে পারে, তাহলে হিলারিই বা কেন ট্রাম্পের কপালে একটা ফোঁটা দিতে পারবেন না! যদি এমনটা হতো, তবেই না সার্থক বিশ্বায়ন হতো আমাদের ভাইফোঁটার!


৫) কঙ্গনা রানাওয়াত ভাইফোঁটা দিন হৃত্তিক রোশনকে - রাজনীতি থেকে একটু বিনোদনের আঙিনায় এলাম। ইদানিং কঙ্গনা রানাওয়াত আর হৃত্তিকের মধ্যে যে চুলোচুলি বেঁধেছে, তাতে শব্দবাজির দরকার নেই। কঙ্গনা কথা বললেই চারিদিকে 'রোশন' হবে। এত ঝামেলা করে আর দরকার কী! তার থেকে বরং কুইন কঙ্গনা কৃশবাবুর কপালে একটা মঙ্গল কামনা করে ফোঁটা দিয়ে দিন।


৬) ঐশ্বর্য রাই ভাইফোঁটা দিন রণবীর কাপুরকে - এই দুজনের মধ্যে কোনও ঝামেলাই নেই। কিন্তু করণ জোহর এই দুজনকে বড্ড বেশি ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিলেন। তাই ক্ষেপে গিয়েছেন অমিতাভ বচ্চনও। অমিতাভের রাগ ভাঙাতে বউমা ঐশ্বর্য অন্তত এমনটা করতেই পারেন। অমিতাভ বাঙালির জামাইও। তাই এই আবেগটায় কাজ হবে বলেই মনে হয়। অভিষেক তো কিছু বলেন না। মনে মনে তিনিও খুশি হবেন হয়তো!


৭) প্রীতি জিন্টা ভাইফোঁটা দিন নেস ওয়াদিয়াকে - প্রীতি এখন বিবাহিত। তাঁর নতুন বরের সঙ্গে দিব্যি ঘরকন্না করছেন। কিন্তু গতবছরও নেসের সঙ্গে তাঁর যা কেচ্ছা হয়েছিল, বাপরে বাপ! তা এবার ভাইফোঁটার দিন বাড়িতে ডেকে প্রীতি যদি একটা টকাস করে ফোঁটা দিয়ে দেন নেসকে, তাহলে বোধহয় বোম্বে ডাইংয়ের মালিকের রাগ কমে একেবারে মোলায়েম হৃদয় হয়ে যাবে!


৮) সাধ্বী প্রাচী ভাইফোঁটা দিন শাহরুখ খানকে - সাধ্বী প্রাচীর যে শাহরুখ খানের উপর এত রাগ কীসে কে জানে! মাঝে মাঝেই তাঁর মুখ থেকে কিংয়ের নাম কুত্‍সিত সব বাক্য বেরোয়। এইবার যদি তিনি এসআরকেকে একটা কপালে ফোঁটা দেন, তাতে কী আর অলুক্ষণে কাণ্ড হয়ে যাবে! গান্ধীগিরি তো এটাও নাকি!


৯)সানিয়া মির্জা ভাইফোঁটা দিন লিয়েন্ডার পেসকে - সানিয়া-লিয়েন্ডার যতই একই খেলার খেলোয়াড় হন, দুজনের সম্পর্ক সবাই জানে বোঝে। এই তো কদিন আগেও নাম না করে লিয়েন্ডারকে বেজায় খোঁচা দিয়েছেন সানিয়া। তিনি তো মহেশের দলের লোক। সানিয়া তো খেলার মানুষ। খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা তাঁর থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এবার তাই লি-কে ভাইফোঁটাই দিয়ে দিন সানিয়া। ভালোই হবে।


১০) করিনা কাপুর ভাইফোঁটা দিন শাহিদ কাপুরকে - করিনা এখন নবাব বাড়িরে বেগম হয়ে ভালোই আছেন। মীরা কি মোহন হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন শাহিদও। তাহলে দুজনেই যখন আলাদা আলাদাভাবে দূরে থেকে শান্তিতে আছেন, তাহলে আর সম্পর্কটা তিক্ত রেখে লাভ কী! এবার করিনা শাহিদকে ভাইফোঁটাই দিয়ে দিন বরং। ওদিকে নবাব সইফবাবুও খুশ। মীরাও জানবেন মোহন শুধু তাঁর একার।


(এই লেখা একেবারেই হাল্কা রসিকতার মেজাজে। লেখা শেষ। ভাবনাও শেষ। আপনাদেরও অনুরোধ। পড়ার পর আপনিও বা ভাবতে যাবেন কেন শুধুমুধু? আর হ্যাঁ, এটা একেবারেই আমার ব্যক্তিগত মত। এই লেখার সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা ডট কমও যে একমত হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। সব ভাই-বোনদের শুভেচ্ছা রইলো। আমি আমার ২০৬ BONE নিয়েই কাটাই বরং।)