স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আপনি কি বাচ্চাদের খুব ভালোবাসেন? বাড়ি গিয়েই নিজের বাড়িতে বাচ্চা থাকলে তাকে আগে কোলে তুলে নেন? অথবা আপনার বাড়িতে হয়তো কোনও বাচ্চাই নেই। সব বড় বড় মানুষ। তাই সময় সুযোগ পেলেই পাশের বাড়ির বাচ্চাটাকে দেখতে পেলেই কোলে তুলে নেন? তাহলে এই ভিডিওটা আপনার মন ভালো করে দেবে। একদম। সত্যিই তো বাচ্চাদের থেকে ভালো জিনিস এই পৃথিবীতে আর আছে নাকি! নিজেরাই তো বড় হয়ে প্রতি মুহূর্তে পস্তাচ্ছি। বারেবারে মনে হয়, কেন সেই দিনগুলো জীবন থেকে চলে গেল। কেন চিরকাল হামাগুড়ি দিয়েই জীবনটা কাটিয়ে যেতে পারলাম না!


ভালোবাসার জিনিস তো ক্রিকেটও। এই খেলাটা শুধু খেলা নয়। একবার যদি ক্রিকেটের প্রেম পড়ে যান আর কোনওদিন বেরোতে পারবেন না। বলা ভালো - জীবনের বৃহত্তম সংস্করণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর জীবনের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ হল ক্রিকেট। এই খেলাটা একবার 'ভালো করে বুঝে নিতে পারলে', জীবনকে মূল্যায়ন করা অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনি আপনার জীবনকে যেভাবে দেখতে পারবেন, সেভাবে আর কেউ দেখতে পারবে না। হ্যাঁ, এতটাই নাটক, বাস্তব আর জোর আছে ক্রিকেটে।


সেই ক্রিকেটেই সেরা জিনিস তো ফার্স্ট বোলিং। ব্যাটসম্যান তাঁর হাতের ব্যাটটাকে নিয়ে যতই গদার মতো ঘুরিয়ে অনেক অনেক রান করুন। যতই তাঁর মারা বলটা স্টেডিয়ামের ছাদ টপকে মাঠের বাইরে গিয়ে পড়ুক। একজন ফার্স্ট বোলারের দৌড়ে আসার থেকে ভয়ঙ্কর ভালোলাগার আর কিছু ক্রিকেট মাঠে হয় নাকি! কোনও এক কালের ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারিই বলুন, পরবর্তীতে ইমরান, আক্রম, ওয়াকারই হন অথবা অ্যালান ডোনাল্ড কিংবা শোয়েব আখতার। এঁদের বলে ব্যাটসম্যানের উইকেট ছিটকে দেখলে গায়ের রক্ত গরম হয়ে যায় না বলুন?


গত ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিশ্বের রাজার তকমাটা তো তাঁর একার। ডেল স্টেন। ছোট নাম। কিন্তু অনেক ভাবনা। অনেক ব্যাখ্যা। বলে যেমন আছে গতি। তেমনই সুইং। সঙ্গে ওরকম সিংহমার্কা একটা ইমেজ। ব্যাটসম্যান স্টেনকে দৌড়ে আসতে দেখে কবে আর মনে মনে কেঁপে কেঁপে ওঠেনি! কিন্তু ভয় পেয়েছি এই স্বীকার ব্যাটসম্যানরা কীভাবে করবেন? সাহসটা ফার্স্ট বোলারদের একচেটিয়া সম্পত্তি। যেটা তাঁরা বুকে নিয়েই দৌড়ে যায় বল বা আগুনের গোলা অথবা এই সমাজের, এই জীবনের সমস্ত বঞ্চনা, ক্ষোভের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য। তবে, জেন্টলম্যানস ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানের মাথার খুলিটা চান না কোনও ফার্স্ট বোলারই। তাঁর লক্ষ্য থাকে ব্যাটসম্যানের আড়ালে থাকা ওই তিনটে উইকেটই। আপাতদৃষ্টিতে 'ক্রিকেট না বোঝা' লোকেদের পক্ষে বোঝা অসম্ভব একটা মানুষকে কীভাবে চোখ থেকেও 'উহ্য' করে তাঁর আড়ালে বা পিছনে থাকা উইকেটটাকে পুরোপুরি দেখে নেওয়া যায়।


এই কাজটা গত দেড়শো বছরে অনেক অনেক বোলার করেছেন। এখন করেন ডেল স্টেন। অ্যানাল ডোনাল্ডকে মানেন না, এমন ক্রিকেট পাগল আছে নাকি! সেই সাদা বিদ্যুত্‍ মানে ডোনাল্ডও 'স্টেন গান'কে কয়েকদিন হাতে করে নেড়েচেড়ে দেখে বলে দিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের সেরা 'প্রোডাকশন' তিনিই। ডেল স্টেন। শুধু ডোনাল্ডই নন। পাকিস্তানের শোয়েব আখতারও বাচ্চাদের মতো করেন ডেল স্টেনের খুনে মেজাজটা দেখলে। আসলে ছোট শহরে জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। তাই সব ছোট ছোট জিনিসেই বোধহয় স্টেনের এত ভালোলাগা। নাহলে এমন ছোট্ট একটা বাচ্চাকে নিয়ে এত বড় ভালোলাগার সময় কাটানো যায় নাকি! সবশেষে বলে রাখি। জীবনে বারবার জন্মানোর সুযোগ হলে, আমি হয়েই জন্মাতে চাই। কিন্তু সেই অপশনটা না দিয়ে যদি বলা হয় যে - কিছুতেই তুমি আর তুমি হয়ে এই পৃথিবীতে ফিরতে পারবে না। তাহলে কী হতে চাও বলো। উত্তর এটাই - ডেল স্টেন। আর কে বলল, ওটা হতে চাই? গত ১০ বছর ধরে এই মানুষটাকেই তো নিজেকে ভেবে এসেছি। আজ এই ভিডিওটা অনেক কথা বলে দেবে আপনাকে। বোঝাবে রাগী মানুষ কয়েনের একটা পিঠ। যেটা আপনি দেখে থাকেন। আর এটা কয়েনের আর একটা পিঠ। যেটা সৌভগ্যবান মানুষরাই দেখতে পান। তাই ভিডিওটা দেখুন। জীবনে বুকের আগুনে যাঁরা দাবানল ছড়িয়ে দিতে পারে এই গোটা পৃথিবীটাতে। তাঁদের বুকে এমন ফল্গু নদীও বয়। ভিডিওটা দেখলেই বুঝবেন.....


 



 


আর রাগটা দেখতে গেলে এই ভিডিওটাও দেখুন....