নিজস্ব প্রতিবেদন : ''পারভিন ববির ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি'', সুশান্ত সিং রাজপুতের মানসিক ঘটনার অবনতি নিয়ে তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে একথাই বলেছিলেন পরিচালক মহেশ ভাট? সেকারণেই সুশান্তের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন রিয়াকে? সুশান্তের মৃত্যুর পর উঠে আসছে এমনই তথ্য। এবিষয়ে মুখ খুললেন লেখিকা সুহরিতা সেনগুপ্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'ন্যাশনাল হেরাল্ড'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে সুহরিতা  জানিয়েছেন, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল মহেশ ভাটের অফিসে। সুশান্ত সেখানে গিয়েছিলেন 'সড়ক ২'-তে কাজ করার বিষয়ে কথা বলতে। একটি বিষয় নিয়ে সুশান্তের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন মহেশ ভাট। সুশান্তের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার মধ্যেই তাঁর মনের গভীরে এই কঠিন অসুস্থতার দিকটি খেয়াল করেছিলেন 'ভাট সাব'। সুহিত্রা সেনগুপ্তের কথায় পারভিন ববির ঘটনাটা মহেশভাট খুব ভালো করে জানেন, তাই তিনি সুশান্তের বিষয়টা বুঝে যান। তিনি এটাও জানতেন চিকিৎসা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। 


আরও পড়ুন-সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু, বিস্ফোরক পরিচালক শেখর কাপুর



আরও পড়ুন-''সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি, এটা পরিকল্পিত খুন'' কাদের নিশানা করলেন কঙ্গনা?


সুহরিতা  জানিয়েছেন, ''সুশান্ত নিয়মিত ওষুধ খাবেন, এটার জন্য রিয়া চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ও খেত না। গতবছর ও সকলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। তবুও রিয়া ওর সঙ্গে ছিল। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে সুশান্ত কণ্ঠস্বর শুনতে শুরু করেছিল। ও ভাবত, ওকে কেউ মেরে ফেলতে চাইছে। একদিন ওর বাড়িতে অনুরাগ কাশ্যপের সিনেমা চলছিল। ওর সঙ্গে রিয়াও ছিল। ও রিয়াকে বলল, আমি অনুরাগ কাশ্যপের ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েছি। ও আমাকে মেরে ফেলবে। তারপর থেকেই রিয়া সুশান্তের সঙ্গে থাকতে ভয় পেত।''


সুহরিতা  সেনগুপ্ত আরও জানিয়েছেন, ''রিয়ার কিছু করার ছিল না। তাই ও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। মহেশ ভাট রিয়াকে বলেছিলেন, সুশান্তের সঙ্গে থাকলে ও নিজের মানসিক সুস্থতা হারিয়ে ফেলবে। রিয়া অপেক্ষা করছিল, যে সুশান্তের দিদি মুম্বইয়ে এসে ভাইয়ের দেখাশোনা করুক। সুশান্তের দিদিরাও ওকে অনেক বুঝিয়েছিলেন। ওষুধ খেতে বলতেন, কিন্তু ও কারোর কথা শুনতো না। শেষ মাসে সুশান্ত নিজের মানসিক কারাগারেই বন্দি হয়ে গিয়েছিল।''


আরও পড়ুন-''আমিও আত্মহত্যাপ্রবণ, বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম'', লিখলেন পার্নো, মুখ খুললেন ভাস্বর