Achena Uttam : `অচেনা উত্তম` হয়ে এলেন শাশ্বত, প্রকাশ্যে মহানায়কের ব্যক্তিগত জীবন, দেখুন...
``৫৪ বছরের জীবন, উত্তম কুমারের স্থান বাঙালির অন্তরে, সেটা মাথায় রেখেই ছবিটা করা।``
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: আইনি জটিলতা পার করে অবশেষে মুক্তি পেল অতনু বোস (Atanu Bose)-এর ছবি 'অচেনা উত্তম'(Achena Uttam) র ট্রেলার। Zee ২৪ ঘণ্টার ফেসবুক পেজের মাধ্যমেই প্রথম দর্শকদের সামনে এসেছে এই ট্রেলার। এই বায়োপিকে উত্তম কুমার হয়ে ধরা দিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যাায় (Saswata Chatterjee)। ২মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ট্রেলারে উঠে এসেছে উত্তম কুমারের জীবনের নানান মুহূর্ত।
ছবির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পরিচালক অতনু বোস বলেন, ''এতদিনের পরিশ্রম, এত বাধা পার করে অবশেষে ছবিটা দর্শকদের সামনে আসতে চলেছে। অভিনেতা উত্তম কুমার সম্পর্কে মানুষ যেসমস্ত কথা জানেন না, সেই কথাগুলিই ছবিতে উঠে আসবে। এটা একটা পিরিয়ড ড্রামা, ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়ের প্রেক্ষাপটে এই ছবিটা বানানো হয়েছে। উত্তমকুমার, সত্যজিৎ রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি নস্টালজিয়া। আর এই তিনজনকে এই ছবিতে ভীষণভাবে পাবেন। ছবিতে উত্তম কুমারের নিজের লেখা গান ও সুর ব্যবহার করেছি। ছবিতে এমন বহু কথা আছে, যা অনেকেই জানেন না, আমিও জানতাম না, ছবিটা করতে গিয়ে জানতে পারি। ওঁর জীবনে একাধিক প্রেম যেমন আছে, তেমনই মৃত্যুর আগে কিন্তু উত্তমকুমার ভবানীপুরের বাড়িতেই ফিরতে চেয়েছিলেন। কারণ, গৌরীদেবীকে উনি ভীষণ ভালোবাসতেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে উত্তমকুমারের এক দিদি মারা যান, যেটা ওঁর প্রথম দেখা কোনও কাছের মানুষের মৃত্যু, যেটা অনেকেই জানেন না। আবার, ওঁর জীবনে স্ট্রাগল পিরিয়ডটাও তুুলে ধরা হয়েছে। দু'ঘণ্টার ছবিতে যতটা দেখানো যায়, ততটাই তুলে ধরেছি। ৫৪ বছরের জীবন, উত্তম কুমারের স্থান বাঙালির অন্তরে, সেটা মাথায় রেখেই ছবিটা করা।''
উত্তম কুমারকে নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও ছবি বানাচ্ছেন, যা নিয়ে আইনি জটিলতার মুখে পড়়তে হয়েছিল 'অচেনা উত্তম'কে। সেবিষয়ে পরিচালক অবশ্য বিশেষ কিছু বলতে চাননি। অতনু বোসের কথায়, ''দুজনেই ছবি বানিয়েছি, চাইনা কোনও ছবি আটকে থাকুক। কারণ, ছবি বানাতে দুজনেই পরিশ্রম করেছি। এবিষয়ে আমাদের প্রযোজকের সঙ্গে সৃজিতের কথা হয়েছে। আমি বায়োপিক বানিয়েছি, সৃজিত তো বায়োপিক বানাচ্ছেন না। এটুকু বলতে পারি লক্ষাধিক টাকা দিয়ে সত্ত্ব কিনে তবেই এই ছবির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সত্ত্ব অনুযায়ী উত্তমকুমারের বায়োপিক আর কেউ বানাতে পারবেন না। এমনকি ওঁর ব্যক্তিগত ছবি থেকে শুরু করে কোনও কিছুই আর কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না।''