নিজস্ব প্রতিবেদন- তৃণমূলের ল্যান্ডস্লাইড জয়ের আভাস আসামাত্রই টুইটারে এক লাইনে বিস্ফোরক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। লিখলেন, ‘বিশ্ব রগড়ানি দিবস’ ঘোষণা করা হোক দিনটিকে। খোঁচাটা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে, বলাই বাহুল্য। শিল্পীদের ‘রগড়ে’ দেওয়ার প্রসঙ্গ একটি সাক্ষ্মাৎকারে তোলেন দিলীপ ঘোষ। শিল্পীদের বাক-স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা. রাজনৈতিক দলের ফ্যাসিস্ট আচরণ, শিল্পীদের কণ্ঠরোধ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘আমরা এলে, প্রয়োজনে শিল্পীদের রগড়ে দেব।’ এই বক্তব্যের বিরোধিতায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সবর হন একের পর এক শিল্পী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী ফেসবুকে লেখেন, ‘শিল্পীরা আসলে রগড়াতে রগড়াতেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন, আবার অনেকেই পারেন না। তাই আজীবন রগড়ে যেতে হয়। তাই শিল্পীদের রগড়ানির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই’।


টলিউডের একঝাঁক অ-বিজেপি মনোভাবাপন্ন শিল্পী মিলে ‘নিজেদের মতে নিজেদের গান’ প্রকাশ করেন। গানটি আসলে এনআরসি (NRC) বিরোধী গান, যাতে বলা হয়, ‘অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব’। তাই নিয়ে শুরু হয় জোর বিরোধিতা। একদিকে দিলীপ ঘোষ যখন শিল্পীদের ‘রগডানো’র কমেন্ট করছেন, পাশাপাশি বিজেপি-র সাংস্কৃতিক সেল একটা পাল্টা গান বাঁধছে। কোন গানটি মানুষের মনে বেশি ঠাঁই পাবে, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ একটা আলোড়ন পড়ে যায়। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের লেখা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত গানের ভিডিও-র ভিউ অনেক বেশি হয়। সেই গানের একটা সামাজিক প্রভাব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে শিল্পী মহল।


 



 


একা পরমব্রত নন, আরও অনেকেই ওই গানের লিরিক তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে ফেলেছেন। তবে পরমব্রত আরও একধাপ এগিয়ে মনে করিয়ে দিলেন, ‘তোমার কোনও কোনও কথা, কোনও কথা শুনব না আর, যথেষ্ট বুঝি কিসে ভাল হবে, নিজেদের মত ভাবব’। পাশাপাশি নিজের টুইটে বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক।