জয়ীতা বসু :​ করোনা সংক্রমণের ভয়ে কার্যত ঘরবন্দি গোটা দেশ। মারণ ভাইরাস যাতে নতুন করে থাবা বসাতে না পারে, তার জন্য ১৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউন ভেঙে যাতে কেউ বাড়ির বাইরে বের না হন, তার জন্য প্রশাসনের তরফে চালানো হচ্ছে জোরদার নজরদারি। ফলে লকডাউনের জেরে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ঘরে বন্দি সেলেবরাও। বলিউড থেকে টলিউড কিংবা টেলিভিশন তারকারা, লকডাউনের জেরে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন না টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনের জেরে আপাতত বন্ধ শ্যুটিং। তাই লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের তোড়জোড়ও নেই সেলেবদের জীবনে। ফলে অন্য তারকাদের মতো পুরো সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন স্নেহা। ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে কথা বলার সময় স্নেহা চট্টোপাধ্যায় জানান, আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। বাড়ির সমস্ত কাজ প্রায় একা হাতেই সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাড়ির প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে তাঁকে সব সময় সাহায্য করা পরিচারিকারাও যাতে সুস্থ থাকেন, তার জন্য ছুটি দিয়েছেন তাঁদেরও। তাই আপাতত ঘরকন্নার কাজ একা হাতেই সামলাতে হচ্ছে তাঁকে।


আরও পড়ুন : প্রতিটা দিন কাটছে ভয়ে, খাবার জোগাড়েও লড়াই, পূর্ব লন্ডনের বাড়িতে আটকে অভিনেত্রী পিয়ালি মুখোপাধ্যায়


ঘর গোছানো থেকে শুরু করে, রান্না করা সবকিছুই নিজের হাতে সামলাচ্ছেন বলে জানান স্নেহা। তবে বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে এতগুলো দিন, এতটা সময় একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ হয়নি কখনও। এবার করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের ফলে স্বামীর সঙ্গে তাই বেশ কয়েকদিন একসঙ্গে কাটাতে পারছেন বলেও জানান টেলিভিশনের এই প্রথম সারির অভিনেত্রী। 


যদিও বাড়িতে থাকলেও, নববর্ষ উপলক্ষে নতুন করে কোনও আয়োজন ছিল না 'নকশি কাঁথা'-র 'রোহিনীর' বাড়িতে। কবরোনার সংক্রমণের জেরে মানুষ যখন প্রতিমুহূর্তে নিজেদের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে রয়েছেন, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে নতুন করে নববর্ষের আয়োজনের কোনও জায়গাই নেই বলে জানান অভিনেত্রী। তবে নতুন বছরের শুরুতে সবাইকে ভালবাসা, শুভেচ্ছা জানাতে কিন্তু ভোলেননি জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়।