সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: বাংলাদেশের তাঁর ফ্যান ফলোয়িং আকাশছোঁয়া। কাঁটাতার পেরিয়ে সেই জনপ্রিয়তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে এপার বাংলাতেও। সৌজন্যে বাংলাদেশের(Bangladesh) নাটক। তিনি অভিনেতা আফরান নিশো(Aran Nisho)। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেল তাঁর প্রথম ছবি 'সুড়ঙ্গ'(Surongo)। সেই ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেতা। সেই সময় জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। ব্যক্তিগত পছন্দ থেকে সিনে ইন্ডাস্ট্রি নানা কথা শেয়ার করলেন অভিনেতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতায় এসে একের পর এক সাক্ষাৎকার দিতে দিতে কি ক্লান্ত?


নিশো: সত্যিই তাই, তবে পাশাপাশি খুবই এক্সাইটেড। এটা আমার প্রথম ছবি তাই এখানে একটা অন্য আবেগ কাজ করছে। কষ্ট হচ্ছে, ক্লান্তি আছে, তবে সেটা চলেও যাচ্ছে।


কলকাতায় কী আসা হয়?


নিশো: খুবই কম আসা হয়। প্রথমবার এসেছিলাম ১৯৯৮ সালে। তারপর মাঝখানে ২০০৫-২০০৬ সালে একটা বিজ্ঞাপনের কাজে এসেছিলাম। ব্যস...


মানে ১৭ বছর পর কলকাতায় এলেন?


নিশো: হ্যাঁ,আমার কলকাতা বললে ১৯৯৮ সালের কথা মনে পড়ে। সেই সময় কলকাতায় অনেকদিন ছিলাম, বেঙ্গালুরুতেও অনেকদিন ছিলাম। আমার নানাভাইয়ের বাইপাস সার্জারি হয় ডাঃ দেবী শেঠির কাছে। সেই সময় কলকাতার একটা অন্য রঙ ছিল। অনেক বেশি অ্যাম্বাসাডর গাড়ি ছিল। এবার কলকাতায় আসার পর থেকেই নানাভাইয়ের কথা মনে পড়ছে। নস্টালজিক হয়ে পড়ছি। আমাদের ঢাকার মতোই অনেক আধুনিক হয়ে গেছে কলকাতা। তবে আমার সবসময় মনে হয়, দেশের মধ্যেই আছি। কারণ দুই দেশের মানুষের গায়ের রঙ এক, ভাষা এক, আমার আরাম লাগে, খুব একটা পার্থক্য বুঝতে পারি না।



এবার এসে কলকাতায় কোথাও ঘুরলেন?


নিশো: কোথাও না, এসে থেকে আপনাদেরই সময় দিয়ে যাচ্ছি (হাসি)। আমার ইচ্ছে আছে, পরেরবার পরিবার নিয়ে এসে কলকাতায় ঘুরব।


আরও পড়ুন- Mamata Banerjee | Rocky Aur Rani Kii Prem Kahaani: আলিয়া-রণবীরের মুখে মমতার নাম! তড়িঘড়ি কেটে বাদ দিল সেন্সর বোর্ড...


সিনেমায় আসতে এত বছর সময় লাগল কেন?


নিশো: এই যে সমন্বয়। একটা ভালো সিনেমা তৈরি করার জন্য প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের সমন্বয় হওয়া জরুরি। সেটার জন্য একটা বাজেটও দরকার। আমি দেরি বলব না, আমার দৃষ্টিভঙ্গীতে এটা বেশ তাড়াতাড়ি হলো।


তাহলে সুড়ঙ্গ-তে সব কিছুর সমন্বয় হল?


নিশো: হ্যাঁ, এটা ভালো গল্প। গুনী নির্মাতা, আমাদের প্রযোজকেরও সেই কর্মদক্ষতা রয়েছে। যে ডিপার্টমেন্টে যাঁকে চেয়েছি, তাঁরা তাঁকেই নিয়ে এসেছেন। প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে যখন সুন্দর হয়, তখন কাজটা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকগুলো সেক্টর থেকে ইয়েস শোনার পরেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হই।


বাংলাদেশে তো আপনার বিশাল ফ্যান ফলোয়িং, বড়পর্দায় আপনাকে দেখে ফ্যানেরা কী বলছে?


নিশো:  কেউ কেউ ওয়েলকাম জানিয়েছে, অনেকেই খুব এক্সাইটেড কিন্তু নাটকের ফ্যানেদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলেছেন, ‘ভাইয়া সিনেমা করার দরকার নেই, নাটকেই থাকেন’। কিন্তু তাঁদের সেই প্রশ্নের জায়গা শেষ হয়ে গেছে। আমি অনেকটা সময় নিয়েছি বড়পর্দায় আসতে, তাই ফ্যানেদের আস্থা ছিল। এখন তারা খুশি। 



চঞ্চল চৌধুরী, মোশারফ করিমের জনপ্রিয়তার মতোই আপনার জনপ্রিয়তা, ওদের ওয়েব সিরিজ-ছবি আগে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে, ওদের পথেই আপনি...


নিশো:  আমরা সবাই আসলে একে অপরের প্রতিফলন। একই জোনে কাজ করতে গেলে পথ মিলবেই। তাঁরা খুবই সমাদৃত, তাঁদের অভিনয় নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। পাশাপাশি আমাদের ছবি সুড়ঙ্গ-র টিম চাইছিল, আমাদের এই কনটেন্টটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। এসভিএফ আমাদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এত সুন্দরভাবে রিলিজ করছে। রিলিজগুলোয় আমাদের ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে। অনেকগুলো পথ খুলে যাবে। আমরা দুই বাংলা হয়তো আলাদা ভূখন্ড কিন্তু আমরা একই ভাষাভাষী। আমাদের নাটকগুলো, ওটিটি কনটেন্টগুলো এখানকার মানুষেরা খুবই দেখে, সিনেমার ক্ষেত্রে কেন বাধা থাকবে? আমার মনে হয় যদি একই সময়ে দুই বাংলায় ছবি একসঙ্গে রিলিজ করে তাহলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সার্বিক উন্নতি হবে, তার ভালো ফলাফলও পাওয়া যাবে।


বাংলাদেশের থেকে পশ্চিমবঙ্গে বেশি হলে মুক্তি পেল ‘সুড়ঙ্গ’, নিজের দেশে তো বেশি হলে দেখানো উচিত ছিল?


নিশো: হ্যাঁ, তা উচিত। তবে বাংলাদেশে আমরা বাছাই করা হলেই এই ছবি দেখাতে চেয়েছি। যেখানে স্ক্রিন, লাইট ভালো। আমাদের দেশের সব সিঙ্গল স্ক্রিন খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। আমাদের টিম এটা সেট করেছে। মোট স্ক্রিনের অনুপাতে ২৮ বেশ বড় নম্বর, এখানকার তুলনায় হয়তো কম।


এখানেও সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে গেছে একের পর এক, তাহলে বাংলাদেশেও এটা সমস্যা?


নিশো: হ্যাঁ স্ক্রিনিংটা আমাদের ওখানেও বড় ইস্যু। আমরা যেমন ২১ তারিখে নিউইয়র্কে রিলিজ করেছি ১১টা হলে। ২৮ তারিখ সারা আমেরিকা জুড়ে ১০৮ টি হলে মুক্তি পাবে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াতেও মুক্তি পাবে। প্রথমবার সৌদি আরবে কোনও বাংলাদেশের ছবি মুক্তি পাচ্ছে।


আরও পড়ুন- Shakib Khan: ‘আগেও সুন্দরী নায়িকারা অভিনয় করেছেন, কিন্তু শাকিবের সন্তানের মা হয়নি’


টাইমস স্কোয়ারে প্রথম বাংলাদেশী ছবির টিজার দেখা গেল, সেটা আপনারও প্রথম ছবি...


নিশো:  এই অনুভূতিগুলো হয়তো আমি আরও দুই-তিন মাস পর বলতে পারব। এগুলো সব আমার প্রথম প্রেমের মতো। প্রেমে পড়লে যেরকম মনে হয় অনেকটা সেরকম। সবারই এরকম ইচ্ছে থাকে, আমি গর্বিত যে আমাদের টিম সেটা করতে পেরেছে।


সুড়ঙ্গর গল্পে দেখা যাচ্ছে যে যাঁর কাছে টাকা ময়না তাঁর কাছেই চলে যাচ্ছে...


নিশো:  (হাসি) এটা একটা স্পয়লার হতে পারে। এটা আসলে সাদা বা কালো নয়। অনেকেই বিষয়টা গ্রে রাখতে পছন্দ করেন। আমার মনে হয়, এটার উত্তর পরিচালক দিতে পারবেন তবে এটা একটা গল্পের প্রয়োজনে দেখানো বলেই মনে হয়। এই যে গল্পের মাসুদ, সে শুধু পুরুষ নয়, নারীও হতে পারে। অনেক পুরুষও ময়নার মতো আচরণ করতে পারে। জহির নারীও হতে পারে। এটা একটা অবস্থান দেখানো হয়েছে। অনেক সময় ইচ্ছে করেই চরিত্রগুলো গ্রে রাখা হয়, যাতে তা জাজমেন্টাল মনে না হয়। তবে কিছু সত্য তিতাও হয়। আমি চরিত্র নিয়ে বলছি না। এখানে মাসুদের অনেক শেড আছে। এই যে মাসুদ কী ঠিক? ময়না কী ঠিক? নাকি ভুল? এই যে প্রশ্নগুলো উঠছে, আসলে কোনটা ঠিক বা বেঠিক সেটাই ছবির বিশেষত্ব।


গল্পটা শুনে আমার মনে হয়, এটা একটা নারীবিদ্বেষী সিনেমা। যেখানে এখন মেয়েরা ধীরে ধীরে মাথা তুলছে, নিজে রোজগার করছে, এত নারীকেন্দ্রিক ছবি তৈরি হচ্ছে, সেখানে কেন এরকম নারী চরিত্রকে মুখ্য করে দেখানো হচ্ছে?


নিশো: অনেক সময়েই এটা হয়। আমারও রাগ হয় যে এটা কেন এরকম দেখানো হচ্ছে। তবে এখানে রাফী যেটা তুলে ধরেছে সেটা হল, চরিত্রগুলো শুধু নারী-পুরুষ নয়। ময়না নারী হলেও তার মধ্যে একটা পুরুষও থাকতে পারে। আমরা যদি বিষয়টা এভাবে ভাবতে পারি, তাহলে বিষয়টা সহজ হয়, ভাবতেও আরাম লাগে।  


তাহলে এটা কী ভোগবাদকে কটাক্ষ করার প্রচেষ্টা?  


নিশো:  হ্যাঁ, হতেই পারে।



এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফার সুমন সরকারকে ম্যাজিশিয়ান বলা হয়, তাঁর সম্পর্কে আপনি কী বলবেন?


নিশো:  সুমনকে আমি অনেকদিন চিনি। ওর বেড়ে ওঠা আমার চোখের সামনেই। একদমই শুরু থেকে দেখেছি। শিক্ষিত, পরিমার্জিত ছেলে। ওর যে জানার , শেখার ইচ্ছে সেই কারণেই ওর প্রশংসা করি। ওই একমাত্র সিনেমাটোগ্রাফার যাঁকে দেখলাম, তিন চার মাস এই ছবিটা নিয়েই ছিল। অনেকবার ওর সঙ্গে বসেছি, এই ছবি নিয়ে। ও আমার কাছে মাসুদের সাইকি জানতে চায়, ও বলে যে আমি তো তোমায় ধরব তাই তোমার মনঃস্তত্ত্বও জানা জরুরি। আমি দোয়া করি, শিখরে পৌঁছাক ও, ব্যক্তিগতভাবে ও খুব ভালো মানুষ।


ঈদে বাংলাদেশ অনেক সিনেমা রিলিজ করলেও শেষে দেখা যাচ্ছে শাকিব খান ও আপনিই একমাত্র সম্মুখ সমরে। আপনি কি শাকিবকে আপনার প্রতিযোগী মনে করেন?


নিশো:  একদমই না। আমি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমাদের টাইমলাইন কখনই এক নয়। আমি মনে করি প্রত্যেকেই নিজের সামর্থে নিজের নাম করে। আমারও নিজস্ব দর্শন আছে। আমি অভিনেতা হতে চেয়েছি সবসময়। একটা ইন্ডাস্ট্রি ভালো চলার জন্য হেলদি কম্পিটিশন থাকা জরুরি। সব সেক্টরেই সেটা থাকে, তাতে কাজটা ভালো হয়।


আপনি কখনও শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করবেন?


নিশো: অবশ্যই। যদি চরিত্র আমার পছন্দ হয়, তাহলে কেন নয়? ছবির গল্প, আমার চরিত্র, ছবির টিম পছন্দ হলে অবশ্যই করব।


আরও পড়ুন- Afran Nisho: মুক্তির অপেক্ষায় বাংলাদেশের ছবি ‘সুড়ঙ্গ’, কলকাতায় হাজির নিশো-তমা-রাফী...


কিছুদিন আগে বিয়ে, সন্তান, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপনি বলেন, ‘আমি কিছু লুকাইনি’। এটা কী শাকিবের উদ্দেশ্যেই বলেছিলেন?


নিশো: না। এটার পিছনে আমার ব্যাখা ছিল। আমি বরাবরই দেখেছি যে, লোকে বলে হিরো হতে গেলে এক্সক্লুসিভ হতে হবে। তুমি প্রেম করলে মহিলা ফ্যান কমে যাবে, বিয়ে করলে লুকিয়ে রাখতে হবে। তবে এখন যদিও সারা বিশ্বে যাঁরা এক্সক্লুসিভ তাঁরাও দর্শকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। অনেকে হল ভিজিট করতেও বারণ করে, তাঁরা বলেন, এক্সক্লুসিভ হও। কিন্তু আমি যেখান থেকে বড় হয়েছি, আমার অভিনয়চর্চ্চা মূলত মানুষের থেকে নেওয়া। আমার কাজের ক্ষেত্রে হয়তো আমাকে কোনও দুঃখী গরীব মানুষের কাছে বসে দুপুরের খাওয়াটা এক্সপেরিয়েন্স করতে হয়েছে। এমনকী আমি রাস্তাতেও ঘুমিয়েছি। আমাকে অভিনয়ের জন্য গ্রাউন্ডে যেতে হয়। কাল্পনিক জগত থেকে চরিত্র বানাই না। আমার চরিত্রগুলো রিয়ালিস্টিক হয়। রিকশা চালকের থেকেই রিকশা চালানো শিখেছি। আমি আসলে হিরো নয়, চলচ্চিত্র অভিনেতা হতে চাই। আমি সেই দর্শনের কথা বলেছি। হিরো না বলে যদি নামে ডাকে তো বেশি ভালো লাগে। আমার মনে হয় পারফরমার হিসাবে আমাদের খাঁটি হওয়া উচিত এবং আমাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও রাখতে হয়। আমি সেই অর্থেই কথাগুলো বলেছিলাম। শাকিবকে উদ্দেশ্য করে নয়।


এই সূত্রে আপনার বন্ধু নিরব হোসেনও আপনার উপর রেগে গেছেন। তিনি বলেছেন কেন আপনি তাঁর নাম নিলেন? আপনার বিয়ে, সন্তানও তো গোপন আছে?


নিশো: নিরব, ইমন আমার বন্ধুরা অনেকেই ব্যক্তিগত জীবন লুকিয়ে রাখে। তবে সেটা কেরিয়ারে কিছু যোগ করে না। এটা একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং। আমি ফোনে কথা বলব।



এবার একটু ব্যক্তিগত বিষয়েই জানতে চাই, আপনার নাম তো আহমেদ ফজলে রাব্বি অথচ আপনি জনপ্রিয় আফরান নিশো নামে। এই নামের রহস্য কী?


নিশো: আমার নাম আহম্মদ ফজলে নিশো। মডেলিংয়ের সময়ে নিশো নামে পরিচিতি পাই। অনেকেই বলে, দুই শব্দে নাম হলে ভালো হয়। তখন ভাবলাম পুরো নামটাই রাখব। আহমেদের A, ফজলির F, রাব্বি আল্লাহর অন্য নাম তাই RA আর নিশোর N মিলিয়ে হল আফরান, সঙ্গে নিশো। নাম হল আফরান নিশো।


আপনার মতে বাংলাদেশের নাটকে এখন সেরা কে?


নিশো: এখন, এই মুহূর্তে ভিকি জায়েদ।


সিনেমা না নাটক, নিশোর ফোকাসে এগিয়ে কোনটা?


নিশো: এখন সিনেমা।


চঞ্চল চৌধুরী ও মোশারফ করিম, কাছের কে?


নিশো: দুজনেই খুব কাছের। চঞ্চল ভাই একটু কাছের।


পরিচালক নিশোকে কবে দেখা যাবে?


নিশো:  এই ভেতরের কথাটা আপনি কি করে জানলেন? ইচ্ছে যে নেই তা নয়। তবে সময়ের অপেক্ষায় আছি। মাথায় কোনও কিছু এলে, দেখাও যেতে পারে।


পশ্চিমবঙ্গের পছন্দের পরিচালক কে?


নিশো:  সৃজিত দা...


আরও পড়ুন- Tollywood on Manipur Violence: ‘ফাঁসির থেকেও বড় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক’, মণিপুরের নির্যাতিতার পাশে টলিউড...


সম্প্রতি একসঙ্গে লাঞ্চ করতে দেখা যায় আপনাদের, আগামী ছবির পরিকল্পনা চলছে?


নিশো: না, সেরকম কিছু না। ওঁর ছবির শ্যুট শুরু করেছেন। আমি ছবির প্রচারে এসেছি। সেই মাঝেই দেখা ও খাওয়া দাওয়া। আমাদের মত বিনিময় হয়েছে।


আপনার চোখে এপার বাংলার সেরা অভিনেতা, অভিনেত্রী?


নিশো:  রুদ্রনীল দা, অনির্বাণ, প্রসেনজিৎদাকে ভালো লাগে। নায়িকাদের মধ্যে কোয়েল মল্লিক ও মিমি চক্রবর্তীকে ভালো লাগে।


অনেকেই বলেন আপনাকে আর অপূর্বকে একই দেখতে, কখনও কি কেউ গুলিয়ে ফেলেছে?


নিশো:  আগে এটা খুবই হত। আমরা ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তবে এটা সহধর্মিনীরা ভালো বলতে পারবে। আমি অপূর্বর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেন যে শপিং মলে এরকম প্রায়ই হয়। ও চুপচাপ অটোগ্রাফ দিয়ে দেয়। আমি বললাম কার নামে? বলল নিজের নামেই। (হাসি) আসলে অনেকেই এক্সাইটমেন্টে গুলিয়ে ফেলে। আমাকে আরও অনেকের সঙ্গেই ফ্যানেরা গুলিয়ে ফেলে। আমার নামের ক্ষেত্রেও অনেকে ভুল বলে ফেলে। কেউ আরফান বলে, কেউ অরিফিন বা আফনান বলে ফেলে। আমি তাঁদের বলি, মনে রাখবেন ছোটবেলায় মা খাইয়েছিলেন জাফরান আর আমি আফরান।


নিজেই নিজেকে ট্রোল করছেন?


নিশো:  হা হা। এটা ফ্যানেরা এক্সাইটমেন্টে করেন।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)