Jammu and Kashmir: কাশ্মীরে খুলে গেল মাল্টিপ্লেক্স, উদ্বোধনেই পর্দায় লাল সিং চাড্ডা
১৯৮০-র দশকের পর ২০২২ এ আবার বড় পর্দায় ছবির স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ পাবে কাশ্মীরবাসী। আগামী মঙ্গলবারই হবে প্রথম ছবির প্রদর্শন।
জি ২৪ ডিজিট্যাল ব্যুরো: তিন দশক পর কাশ্মীরে ফের খুলছে সিনেমা হল। আগামী মঙ্গলবারই হবে প্রথম ছবির প্রদর্শন। ১৯৮০-র দশকের পর ২০২২ এ আবার বড় পর্দায় ছবির স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ পাবে কাশ্মীরবাসী। স্বভাবতই বেশ খোশমেজাজে তাঁরা। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাই রবিবার দু’টি মাল্টিপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন কাশ্মীরে। এই দু’টি হলের মধ্যে দিয়েই আপাতত নতুন পথ চলার শুরু হচ্ছে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। জানা যাচ্ছে, ফুড কোর্টের ব্যবস্থাও থাকবে একই ছাদের তলায়।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে 'কোড নেম তিরঙ্গা'-র পোস্টার, কবে মুক্তি পাবে পরিণীতির ছবি?
সত্তরের দশকে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে যে গুটিকয়েক সিনেমা হল ছিল। সবক’টিই ছিল সিঙ্গল স্ক্রিনের। এক ছাদের তলায় একাধিক স্ক্রিন বা মাল্টিপ্লেক্সের ধারণা তখনও মানুষের মধ্যে ছিল না। তখন সেই হলগুলিতেই চুটিয়ে সিনেমা দেখতেন তাঁরা। এরপর নব্বইয়ের দশকে এক এক করে বন্ধ হতে শুরু করে সিনেমা হলগুলি। সেই সময়কার রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের তাণ্ডবে সিনেমাহল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন হল মালিকেরা। তারপর থেকে সিনেমা হল খোলার চেষ্টা চালানো হলেও অবশেষে ব্যর্থ হন সকলে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্তের ফলে দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ হয়ে পড়েছিল হলগুলি।
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: দাড়িতে দাদা, মহারাজের নতুন লুকে মাত টালা থেকে টালিগঞ্জ
তবে এবার আর সিঙ্গল স্ক্রিন নয়, একেবারে মাল্টিপ্লেক্সে বসে সিনেমা উপভোগ করবেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। রবিবার অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর পুলওয়ামা এবং সোপিয়ানে এই দু’টি মাল্টিপ্লেক্সের উদ্বোধন করেণ। এরপরই মনোজ সিনহা এই সম্পর্কে একটি ট্যুইট করে সেই দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও জানান, প্রথমদিন আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’র একটি স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। হলটিতে তিনটি অডিটোরিয়াম এবং সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মানুষের বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই গোটা প্রজেক্টের চেয়ারম্যান বিজয় ধর বলেন,'আমরা মাল্টিপ্লেক্সটিকে আমাদের কাশ্মীরি ঐতিহ্যের আদলে সাজানোর চেষ্টা করেছি। এবং স্থানীয় কুইসিনের বিভিন্ন খাবার এইখানকার ফুড কোর্টে রাখার ব্যবস্থা করছি। তিনি আরও জানান, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মী হিসাবে নিয়োগ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। যাতে তারা বেকারত্বের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন’।
উল্লেখ্য, আগের বছরেই জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে একটি চলচ্চিত্র নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল, এখন থেকে এই সরকার সিনেমা শিল্পকে একটি বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করবে।