নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় চিকিত্সা করাতে এসে আর ফিরতে পারেননি বর্ধমানের উত্তম। তিন মাস ধরে এ রাস্তা সে রাস্তা ঘুরে ঘুরে শেষমেষ ঠিকানা হয় বরানগর। স্থানীয় যুবকরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রশাসনের। খবর পৌঁছায় অভিনেতা সোহমের কাছে। সোহমের সাহায্যে বর্ধমান থেকে বরানগরে এসে হারিয়ে যাওয়া স্বামীর খোঁজ পেলেন বন্দনা রায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনে হারিয়ে ফেলেছিলেন রাস্তা, তিনমাস বাদে, আরও এক লকডাউনেই ফিরে পেলেন পরিবার, দেখা পেলেন স্ত্রীর। ইনি উত্তম রায়। গত তিনমাস ধরে উত্তমবাবুকে কেউ ভেবেছেন ভবঘুরে, কেউ ভেবেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন। কেউ আবার কিছুই ভাবেননি, দেখেও দেখেননি। 


জুন মাসে কলকাতায় চিকিত্সার কারণে এসেছিলেন উত্তম রায়। বর্ধমানে আর ফিরতে পারেননি অসুস্থ উত্তম বাবু। ৩ মাস ধরে ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যায় বরানগর। স্থানীয় কিছু যুবক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে উত্তম বাবুর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যোগাযোগ করা হয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও। যদিও, বাড়ি ফেরানোর বন্দোবস্ত সম্ভব হয়নি তাতেও। 


উত্তম বাবুর অবস্থার কথা পৌঁছায় সোহমের কানে। সোহম বর্ধমান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সোহমের উদ্যোগে বর্ধমানের নোয়াখালি গ্রাম থেকে বরানগরে পৌছন উত্তম বাবুর স্ত্রী, পরিবার। হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরে পেয়ে আপ্লুত বন্দনা দেবী।