নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ (Hyderabad Gang Rape) কাণ্ডের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনার পর আক্রোশে ফুঁসছে গোটা দেশ। নক্করজনক এই ঘটনার পর দেশের সর্বত্র প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বহু মানুষ। মঙ্গলবার কলকাতায় নিজের আগামী ছবি 'তানাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র'-এর প্রচারে এসে এবিষয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা অজয় দেবগণও। ঘটনা প্রসঙ্গে অজয় বলেন,  ''আমার মনে হয়, এধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে আরও কড়া আইন আনা উচিত। আর এধরনের ঘটনায় অভিযুক্তরা যেন কোনওভাবেই ছাড়া না পায় সে বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। দোষীদের এতটাই কড়া শান্তি দেওয়া উচিত যেন অন্য আর কেউ এধরনের কাজ করার কথা ভাবতেও না পারে।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে এই প্রথম নয়, সোমবার হায়দরাবাদ গণধর্ষণের কড়া নিন্দা করে টুইটও করেছিলেন অভিনেতা অজয় দেবগণ। লিখেছিলেন, ''প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির (Priyanka Reddy) সঙ্গে যেটা ঘটেছে, সেই নৃশংসতা যেন আমায় প্রতি মুহূর্তে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এধরনের অপরাধ ও ঘটনার কথা অবশ্যই বইতে তুলে ধরা উচিত। তা না হলে আমরা আমাদের মেয়েদের রক্ষা করতে পারবো না। গোটা সিস্টেমটাই ব্যর্থ হবে। '' 


আরও পড়ুন-সিঁদুর দান থেকে সাত পাক, জি বাংলার 'চোখের বালি'র বিনোদিনীর বিয়ের সমস্ত ছবি দেখুন...



তবে শুধু অজয় দেবগণ নন, ঘটনার কড়া নিন্দা করে আগেই টুইট করেছিলেন অভিনেতা সলমন খানও। তিনি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ''প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির সঙ্গে যাঁরা এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরা আসলে মানুষের বেশধারী শয়তান। নির্ভয়া, প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির মত নিরিহ মেয়েদের প্রতি এধরনের অত্যচার, খুনের ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়ানো উচিত। আমাদের সমাজে থাকা এধরনের শয়তানদের শেষ করে দেওয়া দরকার। যাতে আর কোনও মেয়ের সঙ্গে এমনটা না ঘটে।''




প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির(Priyanka Reddy) সঙ্গে যেটা ঘটেছে তাঁর প্রতিবাদ করেছেন অভিনেতা অক্ষয় কুমারও। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যান্য বলিউড তারকারাও।


গত শুক্রবার এই গণধর্ষণ কাণ্ডের চার অভিযুক্ত জল্লু শিবা, মহম্মদ আরিফ, জল্লু নবীন আর চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলুকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসি জেরায় নির্যাতন, ধর্ষণ এবং পুড়িয়ে মারার কথা স্বীকারও করে নেয় অভিযুক্তরা। এর পর শনিবার এই চার অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তেলঙ্গানার শাদনগরের ম্যাজিস্ট্রেট। তার পর তেলঙ্গানার চেরাপল্লীর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয় অভিযুক্তদের। এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের বিচার হবে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে।