নিজস্ব প্রতিবেদন- নিজের ব্লগে খতিয়ান দিলেন অমিতাভ বচ্চন। নেটিজেনদের অনুযোগ, করোনার এই আবহে সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা ছাড়া আর কিছুই করছেন না তিনি। তার উত্তরেই জবাব অভিমানাহত বিগ বি-র। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর আগেও অমিতাভকে (Amitabh Bachchan) এমন কটূক্তি বারবার শুনতে হয়েছে। কিন্তু স্বভাবজাত নীরবতা পালন করেছেন তিনি। এতদিন এই অভিযোগের উত্তরে একটা শব্দও খরচ করেন নি। কোনও জবাব দেননি। সোমবার রাতে হঠাৎ যেন জেগেই উঠলেন ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ (Angry Young Man)। সকলকে জানালেন, দিল্লির ‘শ্রী গুরু তেগ বাহাদুর কোভিড কেয়ার সেন্টার’-এ ২ কোটি টাকা দান করেছেন তিনি। তারপরই গত ১ বছরে করোনায় কোথায় কী অবদান, তার খতিয়ান দিলেন অভিনেতা।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১ বছরে কোথায় কী দান করেছেন সিনিয়র বচ্চন?

বর্ষীয়ান অভিনেতা হিসাব দিয়েছেন, গত বছর কোভিডে বিপর্যস্ত দিনমজুরদের সাহায্য করেন তিনি। টানা ১ মাস দেশের ৫ হাজার শহরে ছড়িয়ে থাকা ৪ লক্ষ শ্রমিকের খাওয়া দাওয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পিপিই কিটের বন্দোবস্তও করা হয়েছিল তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে। একদিকে অতিমারি রুখতে সক্রিয় শিখ জনসেবা সংগঠনকে দান করেছেন, তার পাশাপাশি বহু পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরে ফেরার বন্দোবস্ত করেছেন অমিতাভ। এমনকি, সোনু সুদের মতই তাঁদের যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার। শুধু বাসই নয়,  পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রয়োজনমত ২৮০০ যাত্রীর জন্য গোটা একটি ট্রেনের বন্দোবস্তও করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই করোনার প্রকোপ বাড়ায় ট্রেনটি যে রাজ্যে যাচ্ছিল, সেই রাজ্যের সরকার ট্রেন বন্ধ করে দেয়। তখন পরিবর্ত ব্যবস্থা হিসাবে ৪টি বেসরকারি বিমান ভাড়া করে শ্রমিকদের ফেরত পাঠান।


আরও পড়ুন: ২ ডোজ টিকা নিয়েও করোনা আক্রান্ত হরনাথ চক্রবর্তী, ভর্তি বাঙুর হাসপাতালে

মঙ্গলবার রাজধানীর শিখ গুরুদ্বারা ব্যবস্থাপক সমিতির সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসা জানান,  শুধু টাকাই নয়, অমিতাভ অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট এই সেন্টারে করোনা রোগীর চিকিৎসা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এমনকি, কোভিডে মৃত্যু হয়েছে এমন ২ অনাথ শিশুকেও দত্তক নিয়েছে বচ্চন পরিবার।


আরও পড়ুন: ভারতে অক্সিজেন সংকট, ফ্রান্স থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট আনাচ্ছেন Sonu


১ বছর পরে এই খতিয়ান লিখতে গিয়ে তাঁর লজ্জা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অমিতাভ। তাঁর কথায়,  ‘দান করে তা সবার সামনে প্রচার করতে নেই, এমনটাই ছোটবেলা থেকে শেখানো হয়েছে। কারণ তাতে যিনি দিচ্ছেন এবং যাঁকে দিচ্ছেন, উভয়েই ছোট হয়ে যান।’ প্রবীণ অভিনেতার দুঃখ, এখন প্রচারের যুগ। তাই সামান্য কিছু করেই তার ঢাক বড় করে পেটাতে হয়। হয়। না হলেই সবাই ভাবেন, এত বড় মানুষ, অথচ কিছু না করেই কেবল বড় বড় কথা লেখে। সবমিলিয়ে ২ কোটি নয়, প্রায় ১৫ কোটি দান করেছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।