নিজস্ব প্রতিবেদন:   নিউইয়র্ক, নিউ দিল্লি পর এবার কলকাতা। কলকাতা সেন্টার ফর ইমামি আর্ট ও এনজেন্ডারড এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হল 'আই ভিউ ওয়ার্ল্ড ইন কলকাতা'। যেখানে প্রদর্শিত হল আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চারটি ছবি। চারটি ছবির মধ্যে ছিল লন্ডন নিবাসী বিখ্যাত পরিচালক মার্ক স্ট্রিটের পরিচলানায় তৈরি 'ক্যান আর্ট স্টপ এ বুলেট?', থাইল্যান্ডের পরিচালক এপিচিটাপং উইরেসথ্যাকফুলের 'অক্টোবর রাম্বলস', ভারতীয় পরিচালক অনীরের দুটি ছবিও দেখানো হয়। যার মধ্যে ছিল 'খুল কে বাত' এবং 'উইডোজ অফ বৃন্দাবন'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রদর্শনীর পর বর্তমান অনিশ্চিত সময়ে শিল্পের অবস্থা নিয়ে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়, যেখানে মূল বক্তা ছিলেন এনজেন্ডারডের সাংস্কৃতিক প্রযোজক ও শিল্প প্রদর্শনীর তত্ত্বাবধায়ক শ্রীমতী ময়না মুখোপাধ্যায়। ছিলেন পরিচালক অনীর ও চীনের চিত্র তত্বাবধায়ক ও প্রযোজক ডেভিড কাদ্রি,  যিনি কিনা বিশ্বে প্রথম “নট ফর প্রফিট” স্বনির্ভর সৃজনশৈলীর গবেষণাগার গড়ে তোলেন সাংহাইতে। 



এদিন পরিচালক অনীর-এর কথায়,  করোনার মত একটা মহামারীর কবলে শিল্পের সঙ্গে জড়িত সমস্ত শিল্পী এমনকি চিত্র পরিচলকরাও সংকটে। ইন্টারনেট বর্তমানে যেহেতু দর্শকদের অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করছে তাই চলচ্চিত্রের অবস্থা খুব একটা পরিবর্তন হওয়ার আশা নেই। এই ক্ষেত্রে তিনি পূর্ববর্তী সময়ের টেলিভিশনের উদাহরণও দেন। ছবির ব্যবসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হল মালিক ও দর্শকদের ছবির টাকা সমান ভাগে ভাগ করার দায়িত্ব নিতে হবে ছবি দেখতে ও দেখাতে গেলে। এক্ষেত্রে ছোট ছবির নির্মাতা ও স্বনির্ভর পরিচালকরা একটু নিশ্চয়তায় ফিরতে পারে।



এঞ্জেন্ডারড, যা দিল্লি ও নিউইয়র্ক বেষ্টিত অফিস থেকে মানবাধিকার কেন্দ্রিক ছবি প্রদর্শনীর কাজ করে, তার প্রযোজক ও তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে ময়না মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ভারতবর্ষে শিল্পকে বাইরের দেশগুলোর মতই গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং শিল্পীকেও। তাঁর কথায়, শিল্প নিয়ে  সরব হতে হবে। শিল্পের নির্ধারিত দাম না থাকতে পারে কিন্তু মানবতার জন্য শিল্পের প্রয়োজন ও শিল্পকে প্রতিদিনই সঠিক মূল্যায়ন করতে হয়।


ডেভিড কাদ্রির কথায়, সমস্ত খারাপ ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিল্পী, কলাকুশলী ও তত্ত্বাবধায়ক মিলে প্রতিনিয়ত শিল্পকে নিয়ে একটু একটু করে এগোনোর প্রচেষ্টা চলছে। সেটাই সবচেয়ে ভালো দিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।