জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি ছিলেন একাধারে প্রখ্যাত শিল্পী ও পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুখে। অবশেষে শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক পুলক গগৈ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বর্ষীয়ান শিল্পী ও পরিচালকের মৃত্যুতে অহমিয়া ছবির জগতে শোকের ছায়া। বয়সের কারণে দীর্ঘদিন কিডনি ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি অসুস্থতা বাড়ার কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করেন, ‘পুলক গগৈর মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ। অসমে সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম অগ্রণী তিনি। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট পরিচালক, বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিষ্ট।’ অসমে মর্ডান কনটেম্পরারি আর্টের প্রবর্তক ছিলেন তিনি। জোরহাটে জন্মগ্রহণ করেন পুলক গগৈ। বান্দ্রা কলেজ অফ আর্ট থেকে অঙ্কন বিভাগে পড়াশোনা করেন তিনি। অয়েল পেন্টিং ও অ্যাক্রেলিক পেন্টিংই তাঁর শিল্পের বিশেষত্ব।


আরও পড়ুন-Urfi Javed: প্রকাশ্যে খুনের হুমকি! ‘ভয় পাই না’ পাল্টা উর্ফির


শুধু অসমেই নয়, সারা ভারতে তাঁর চিত্রশিল্প বিখ্যাত। অসম ছাড়াও মুম্বইয়ের জাহাঙ্গীর আর্ট গ্যালারি, কলকাতার আকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর ছবি। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর আঁকা ছবি। কলকাতাতেই নিজের স্বপ্নপূরণের সূচনা করেছিলেন। কিন্তু আর্থিক কারণে চাকরি খুঁজতে শুরু করেন তিনি। তাঁকে একটি ফিল্ম স্টুডিয়োতে চাকরি জোগার করে দিয়েছিলেন বিখ্যাত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা। কিন্তু সেই চাকরি না করে সেই বছরই অসমে ফিরে যান তিনি। সেখানে ফিরে বিভিন্ন পাবলিকেশনে কার্টুন আঁকতে শুরু করেন তিনি। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ভূপেন হাজারিকার সহকারী হিসাবে কাজ করতেন তিনি।


১৯৭৪ সালে সিনেমার জগতে ডেবিউ করেন পুলক গগৈ। তাঁর প্রথম ছবির নাম ‘খোঁজ’। এরপর একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে। সেই তালিকায় রয়েছে ‘মহিমাময়ী’, ‘সাদারি’, ‘সিঁদুর’, ‘রেলার আলির দুবারি বোন’, ‘মরম নদীর গভরু ঘাট’, ‘পত্নী’ সহ আরও অনেক। ২০১৭ সালে অসম সরকার তাঁকে সম্মানিত করে ‘কালাগুরু বিষ্ণু প্রসাদ রাভা’ অ্যাওয়ার্ডে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)