Baisakhi Banerjee| Sovan Chatterjee: ওজন নিয়ে খোঁটা, শোভনের পরামর্শে চোখের জল মুছলেন বৈশাখী!
Baisakhi Banerjee: ‘ফ্যাশন মানে রোগা কিংবা মোটা নয়, ফ্যাশন মানে নিজেকে সুন্দর করে সাজানো’ এই কনসেপ্ট নিয়ে মুক্তি পেতে চলেছে ঋতাভরী চক্রবর্তী অভিনীত ‘ফাটাফাটি’। সম্প্রতি এই ছবির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের জীবনের কথা তুলে ধরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে তাঁর চেহারার কারণে দিনের পর দিন ট্রোলের মুখে পড়েন তিনি।
Baisakhi Banerjee, Sovan Chatterjee, Body Shaming, Fatafati, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেম থেকে শুরু করে তাঁর সৌন্দর্য বা তাঁর ওজন নিয়ে বারংবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশি ওজন নিয়ে তাঁর নাচ হোক কিংবা তাঁর ও শোভনের মানানসই পোশাক নিয়ে কম ট্রোলের শিকার হননি তিনি। এমনকী বাদ পড়েননি তাঁর ছোট্ট মেয়েও। শুধু বৈশাখীর ওজনই নয়, তাঁর মেয়ের চেহারা নিয়েও ট্রোল করতে ছাড়েনি ট্রোলাররা। তবে সম্প্রতি একটি ভিডিয়োতে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই সব ট্রোলকে তিনি পাত্তাও দেন না।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় প্রযোজিত অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ফাটাফাটি। এই ছবির মুখ্য বিষয় হল প্লাস সাইজ মডেলিং। পাশাপাশি এই ছবিতে বডি শেমিংয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন পরিচালক। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছবিতে তিনি একজন গৃহবধূ, তিনি মডেল হতে চান। কিন্তু মডেল বলতে আমরা যে তন্বী ভাবি, তাঁর চেহারা সেরকম নয়। ট্রেলারের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘ফ্যাশন মানে রোগা কিংবা মোটা নয়, ফ্যাশন মানে নিজেকে সুন্দর করে সাজানো’। এমনকী ট্রেলারে দেখা যায় কীভাবে পদে পদে চেহারার কারণে হয়রান হতে হয় ঋতাভরীকে। কীভাবে বডি শেমিংয়ের শিকার হন তিনি।
সম্প্রতি এই ছবির প্রচারে নিজের জীবনের কথা তুলে ধরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেকেই তাঁর ওজন নিয়ে খোঁটা দেন। তিনি বলেন অনেকেই তাঁকে বলেন, ‘বৈশাখী দ্য ডিভা, ১০০ কেজি, আর বৈশাখীর কিছু হওয়ার নেই। আমার শাড়িতে কটা কুচি পড়ছে, আমি ক মন চেহারা নিয়ে নাচছি, আমায় টুনটুন লাগছে না সুচিত্রা সেন লাগছে, আমি পাত্তা দিই না। এরা একটা বাচ্চাকেও বাদ দেয়নি। এটা আমার চয়েজ যে আমি কার সঙ্গে জীবন কাটাই। কিন্তু একটা বাচ্চা যার বেবি ফ্যাট রয়েছে, মাত্র ৫ বছর বয়স, তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সে কার টাকার ভাত খেয়ে মোটা হচ্ছে। আমি আমার মেয়েকে গোলুই রাখতে চাই’।
বৈশাখী বলেন যে এখন তাঁর মেয়েও বুঝে গেছে। তিনি মেয়েকে নিজের শর্তেই বাঁচতে শিখিয়েছেন। বৈশাখী বলেন, ‘আমার আত্মসম্মানে আঘাত করতে পারে এত শক্তিশালী আমি কাউকে হতে দেব না’। তবে এরপরেও এতো ট্রোলে চোখে জল চলে আসত বৈশাখীর। তিনি জানান, সেই সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর পাশে দাঁড়ান। বৈশাখী বলেন, ‘শোভন আমায় বলল, তুমি চোখের জল ফেলছ বৈশাখী? তুমি যদি কাঁদ তাহলে এই সমাজ আরও তলোয়ার হাতে বেরিয়ে পড়বে তোমায় আঘাত করার জন্য।তো আমাকে যাঁরা রোগা মোটা প্রমাণ করতে খাপ পঞ্চায়েত বসান, বৈঠকী আড্ডা বসান, তাঁরা জেনে রাখবেন এটা আমার কাছে কোনও গুরুত্ব পায় না’।
বৈশাখী আরও বলেন, ‘এই শরীরটা আমার। আমি যখন যেরকম মনে করব, সুস্থ থেকে আমি সেরকমভাবে চলব। আমি সমস্ত মহিলাদের বলব যাঁরা শুধুমাত্র ওজনের কারণে খাঁচায় বন্দি হয়ে যাচ্ছেন, আমরা কাউকে খুশি করার জন্য জন্মায়নি। আমার সুস্থ থাকার জন্য, নিজের প্রিয়জনদের ভালো রাখার জন্য জন্মেছি। আমি কতটা মোটা না রোগা, তাতে কী আসে যায়! ভালোবাসাই সব। আলোটা প্রত্যেক ঘরে জ্বলা দরকার।’