Balochistan Floods: বন্যায় ভেঙে পড়েছে বাড়ি, পরিবার নিয়ে রাস্তায় Coke Studio-খ্যাত গায়ক
Coke Studio-তে ওয়াহাব আলি বাগতির `কানা ইয়ারি`-গানটা মন কেড়েছে বহু সঙ্গীতানুরাগীর। কোক স্টুডিওতে দীর্ঘদিন ১ নম্বরে ছিল `কানা ইয়ারি` গানটি। আবার কোক স্টুডিওর হাত ধরেই লাইমলাইটে আসেন বালুচিস্তানের গায়ক ওয়াহাব আলি বাগতি। গায়ক হিসাবে ছিলেন চর্চায়। সম্প্রতি, ঘর হারিয়ে সেই গায়ক ওয়াহাবই ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন। বালুচিস্তানের বন্যা কেড়ে নিয়েছে শিল্পীর মাটির বাড়ি। এই মুহূর্তে পরিবার নিয়ে রাস্তাতেই থাকতে হচ্ছে ওয়াহাবকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে গায়কের পরিবার নিয়ে রাস্তায় বাস করার ছবি।
Balochistan Floods, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: Coke Studio-তে ওয়াহাব আলি বাগতির 'কানা ইয়ারি'-গানটা মন কেড়েছে বহু সঙ্গীতানুরাগীর। কোক স্টুডিওতে দীর্ঘদিন ১ নম্বরে ছিল 'কানা ইয়ারি' গানটি। আবার কোক স্টুডিওর হাত ধরেই লাইমলাইটে আসেন বালুচিস্তানের গায়ক ওয়াহাব আলি বাগতি। গায়ক হিসাবে ছিলেন চর্চায়। সম্প্রতি, ঘর হারিয়ে সেই গায়ক ওয়াহাবই ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন। বালুচিস্তানের বন্যা কেড়ে নিয়েছে শিল্পীর মাটির বাড়ি। এই মুহূর্তে পরিবার নিয়ে রাস্তাতেই থাকতে হচ্ছে ওয়াহাবকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে গায়কের পরিবার নিয়ে রাস্তায় বাস করার ছবি।
নিশাত নানে এক পাক নেটিজেন ওয়াহাব আলি বাগতির ঘরহারা ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেন। লেখেন, 'ওয়াহাব আলি বাগতি যিনি কোক স্টুডিওতে কানা ইয়ারি গানটি গেয়ে খ্যাতির শিখরে এসেছিলেন, তিনি এই মুহূর্তে বালুচিস্তানের বন্যায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁর মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর পরিবার ঘরছাড়া।'
আরও পড়ুন-'বুদ্ধবাবু কথাই বলতেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তার উলটো'
আরও পড়ুন-আয়রনম্যান মিলিন্দ সোমন জেনারেল মানেকশ, ইমারজেন্সিতে কঙ্কনা-চমক!
নিশাতের এই টুইট ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই ওয়াহাবকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অনেকেই গায়ককে সাহায্য়ের জন্য তাঁর ব্যাঙ্র অ্যাকাউন্ট ডিটেলস চেয়ে পাঠান। পাক সেনবাহিনীর তরফেও ওয়াহাবকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মীর আবদুল কুদ্দুস বিজেনজোর তরফেও শিল্পীর কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ডেরা মুরাদ জামালিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে শিল্পীর পরিবারকে।
টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। এ পর্যন্ত অন্তত ৯০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে আবার শিশু রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো এবং মহিলা রয়েছেন প্রায় দুশো। পাকিস্তান বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের দেওয়া এই তথ্য অনুযায়ী চলতি বন্যা পরিস্থিতিতে সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ওই তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, বন্যায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ১২৬ জন মারা গিয়েছেন। এঁদের বেশির ভাগই আবার মহিলা ও শিশু। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত পাক মন্ত্রী শেরি রেহমান এই তথ্য পেশ করেছেন। তিনি এই সংক্রান্ত কিছু ট্যুইটও করেছেন।