Hero Alom: আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে উঠলেন হিরো আলম! শোরগোল পদ্মাপাড়ে...
Hero Alom: হিরো আলমকে ঘিরে ধন্ধুমার বাংলাদেশে। সম্প্রতি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হামলার মুখে পড়েন অভিনেতা। অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এরপরেই হিরো আলমের পাশে দাঁড়ায় রাষ্ট্রসংঘ। তাঁরা একটি বিবৃতি জারি করার পরেই ১৩ বিদেশি প্রতিনিধিকে ডাক পাঠায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রক।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়ান বাংলাদেশের(Bangladesh) জনপ্রিয় ও বিতর্কিত অভিনেতা-গায়ক হিরো আলম(Hero Alom)। ১৭ জুলাই, নির্বাচনের দিন রাস্তায় ফেলে মারা হয় তাঁকে। অভিযোগের তীর ওঠে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের(Awami League) বিরুদ্ধে। এরপরেই হিরো আলমের প্রতি এই ব্যবহারের তীব্র নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১২টি বিদেশি মিশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশ সরকারকে যৌথ বিবৃতি দিয়ে তাঁরা ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন। এরপরেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম কূটনীতিকের কাছে ওই বিবৃতির বিষয়ে সরকারের অসন্তোষের কথা তুলে ধরেন। তবে এই ঘটনার হাত ধরেই বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সারির’ অভিনেতার নাম ছড়িয়ে পড়ল আন্তর্জাতিক স্তরে। যে হিরো আলমকে মেনে নিতে দ্বিধাবোধ করেন বাংলাদেশের তথাকথিত শিল্পীমহল সেই অভিনেতার নাম ছড়িয়ে পড়ল দেশের বাইরে ইউরোপীয়ান টেরিটরিতেও।
আরও পড়ুন- Swastika Mukherjee: নিখোঁজ স্বস্তিকার মেয়ে, তদন্ত শুরু পুলিসের, অভিযুক্ত জনপ্রিয় সাংবাদিক...
গত ১৯ জুলাই আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও ইইউ। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহির দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩টি মিশনের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়। হঠাৎ করে সরকার রাষ্ট্রদূতদের ডাকল কেন? এই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমি দুয়েকটা উদাহরণ দিলাম, একসঙ্গে কয়েকটি রাষ্ট্র খুব বেশি সময় এমনটা করেনি। এখানে মৌলিক কিছু দুর্বলতা আছে গণমাধ্যমে পাঠানো তাদের বিবৃতিতে। এ বিষয়গুলো আজ আমি তুলে ধরেছি। এ ধরনের বিবৃতি যখন আসবে, আমরা সেটাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব, এর আগেও আমরা করেছি।’
কি কথা হল তাঁদের মধ্যে? সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দুপুরে তাদের রাষ্ট্রদূতদের আমরা ডেকেছিলাম। তাঁদের কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণে আমরা আমাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছি। আমরা বলেছি যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যা দিয়ে সারা দিনের শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।তাই শুধু একটি কেন্দ্রের শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে গুটিকয় কূটনীতিক যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা কখনোই সারা দিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করে না। দ্রুত একটি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তাঁরা তাঁদের মূল্যায়নটির বস্তুনিষ্ঠতার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেননি।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি যে কূটনীতিকেরা যৌথ বিবৃতি দেওয়ার অনেক আগেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এই কূটনীতিকেরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যা ‘অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয়’। শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যে দ্রুততা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ঘটনাটির সমালোচনা তাঁরা করেছেন, সেই গুরুত্ব ও দ্রুততার সঙ্গে কিন্তু তাঁরা সরকারের গৃহীত তাৎক্ষণিক ও ত্বরিত আইনানুগ ব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করেননি। তাই যৌথ বিবৃতিটির বস্তুনিষ্ঠতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবনার অবকাশ থেকেই যায়। আশা করি, আমাদের আজকের আলোচনার পর তাঁরা সেটি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন অকূটনৈতিক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন।’