ওয়েব ডেস্ক: কলেজ লাগোয়া শাল জঙ্গল বাঁচানোর প্রতিবাদপত্রে সই। আর তা থেকেই নির্বিবাদী, নিরীহ অধ্যাপক শৈলেশের জীবনে ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। যার সঙ্গে এর আগে কোনওদিনই পরিচয় হয়নি রবীন্দ্রপ্রেমী এই মানুষটির।  হাওয়ার্ড ফাস্টের সাইলাস টিম্বারম্যান অবলম্বনে নাটক কোজাগরীর বিষয়বস্তু এটাই। বেলঘরিয়া অভিমুখের প্রথম প্রযোজনা কোজাগরীর নাট্যকার ও নির্দেশক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জীবনযুদ্ধে কী ক্রমশ হার মানছেন প্রফেসর শৈলেশ কাষ্ঠ। নিজের কাছে, পরিবারের কাছে, অশান্ত সময়ের কাছে নিজেকে সঁপে দিচ্ছেন রবীন্দ্র অনুরাগী এই মানুষটি? নাকি জীবনে প্রথমবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস চাড়িয়ে দিচ্ছেন আরও অনেকের কাছে? এই টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়েই আত্মপ্রকাশ বেলঘরিয়া অভিমুখের প্রথম প্রযোজনা কোজাগরীর। অন্ধকার চিরে নতুন ভোরের যে আলো আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায় এক অন্য পৃথিবীর দিকে, সঙ্গী করতে চায় আরও অনেককে সেই বার্তাই দিতে চাইছে কোজাগরী। কলেজ লাগোয়া শালবন কেটে সাফ হয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদে সামান্য একটা সই, সাক্ষর...কীভাবে শৈলেশের জীবনকে ওলোটপালট করে দিল, নাটকের ঘটনাপ্রবাহ সেই কথাই বলে। হাওয়ার্ড ফাস্টের সাইলাস টিম্বারম্যানের অবলম্বনে নাটক কোজাগরীর নাট্যকার-নির্দেশক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। 


নানান প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে বেলঘরিয়া অভিমুখের প্রথম প্রযোজনা মঞ্চস্থ হয়েছে। এমন অনেকেই এই নাটকে অভিনয় করছেন, যাঁদের মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। প্রায় পাচমাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর প্রত্যেকেই সাবলীল, স্বতন্ত্র। সবমিলিয়ে কোজাগরী এক থেকে বহুর নাটক। যার মাধ্যমে নাট্যকার-অভিনেতারা মানুষের ভেতরের মানুষটাকে খুঁজে বের করতে চায়।