কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হল বাংলা ছবি `কিয়া অ্যান্ড কসমস`
কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হল বাংলা ছবি `কিয়া অ্যান্ড কসমস`। শুক্রবার কান প্যালাইস দি ফেস্টিভ্যালের `প্যালাইস বি হল`এ ছবিটি প্রদর্শিত হয়। সেখানে বিদেশি সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ছবিটি যথেষ্ঠ প্রশংসিত হয়েছে।
রণিতা গোস্বামী: কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হল বাংলা ছবি 'কিয়া অ্যান্ড কসমস'। শুক্রবার কান প্যালাইস দি ফেস্টিভ্যালের 'প্যালাইস বি হল'এ ছবিটি প্রদর্শিত হয়। সেখানে বিদেশি সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ছবিটি যথেষ্ঠ প্রশংসিত হয়েছে।
যদিও 'কিয়া অ্যান্ড কসমস' ছবিটি এখনও এদেশে মুক্তি পায়নি। তবে ইতিমধ্যেই 'কান'এর মঞ্চেই প্রকাশ্যে এসেছে ছবিটির টিজার। যা পরিচালক সুদীপ্ত রয়ের এই ছবিটি নিয়ে কৌতুহল আরও বেশকিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
Kia and Cosmos- the film | Official Teaser | Preview Only from Sudipto Roy on Vimeo.
১৫ বছরের এক কিশোরী 'কিয়া' কে নিয়েই গড়ে উঠেছে এই ছবির প্রেক্ষাপট। কিয়া (ঋত্বিকা পাল) আর পাঁচজনের মতো সুস্থ-স্বাভাবিক নয়। সে 'পারভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার'-এ আক্রান্ত। যে রোগের কারণে তার বয়স ১৫ বছর হলেও তাঁর মানসিক বিকাশ ওই বয়সের কিশোরীদের মতো নয়। কিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। কিয়াকে তার মা জানিয়েছে, তার বাবা মারা গেছে। যদিও সত্যটা তা নয়, তিনবছর আগে তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায় কালিম্পং-এ।
এদিকে 'পারভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার' আক্রান্ত হওয়ার কারণে কিয়া স্কুলে যায়, তবে ওর মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক ভাবে হয়নি। এরই মাঝে কিয়ার পাশের বাড়ির বিড়াল 'কসমস' খুন হয়। ছোট্ট কিয়া তার মতো করেই 'কসমস' মৃত্যু রহস্যের তদন্ত শুরু করে। আর এনিয়েই নিজের বিভিন্ন চিন্তাভাবনা কিয়া তার ডায়েরিতে গল্পের আকারে লিখতে শুরু করে। মেয়ের কাণ্ডকারখানা জানতে পেরে তার ডায়েরি লুকিয়ে রাখে তার মা দিয়া (স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়) আর এরই মাঝে তার বাবা বেঁচে আছে জানতে পেরে বাবাকে খুঁজতে সে একাই কলকাতা থেকে কালিম্পং-এ যাত্রা করে। যদিও এই গল্পের মাঝে রয়েছে অনেক ঘটনা তবে সেগুলি জানতে হলে সিনেমাটির মুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এই ছবিতে কিয়ার চরিত্রে দেখা যাবে ঋত্বিকা পালকে আর কিয়ার 'মা'য়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। দেখা যাবে জয় সেনগুপ্ত, শ্রমণ চট্টোপাধ্যায়, জাহিদ হোসেন সহ আরও অনেকে। ছবির পরিচালনা করছেন সুদীপ্ত রায়। ছবির সম্পাদনা করছেন অনির্বাণ মাইতি। এটি মূলত বাংলা ভাষার ছবি হলেও এখানে ইংরাজি ও নেপালি এই দুটি ভাষাও ব্যবহার করে হয়েছে বলে ২৪ ঘণ্টাকে জানান পরিচালক।